কারাগারে ঐশী রহমানের দিনকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ৪ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার
কারাগারে ঐশী রহমানের কথা মনে পড়ে? বাবা-মাকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে। যে ছিল মাদকাসক্ত। ডিজে পার্টি আর ইয়াবাসহ হরেক নেশাদ্রব্য ছিল যার নিত্যসঙ্গী। সেই ঐশী, ক্রমাগত নেশা যাকে মানসিক ভারসাম্যহীন করে তুলেছিল। কেমন আছে সে ঐশী? কেমন কাটছে ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া ঐশীর জেলজীবন?
জেলজীবন বদলে দিয়েছে ঐশীকে। এক সময়ের উশৃঙ্খল জীবনযাপনকারী ঐশী এখন শান্ত-সুস্থির। পিতা-মাতার হত্যাকারী ঐশী এখন এখন অনেকটাই স্থির সে। নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।
রাজধানীর চামেলীবাগে নিজের বাসায় বাবা-মাকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্ত সেই ঐশী এখন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি। ঐশী যখন তার বাবা-মাকে হত্যা করে তখন সে নেশাসক্ত ছিল। কিন্তু সেই নেশা এখন আর নেই। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে সে।
কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, নেশাসক্তি কেটে যাওয়ার পর থেকেই অনুশোচনা চলছে ঐশীর ভেতর। এখন প্রায়ই অনুশোচনায় নিস্তব্ধ হয়ে থাকে। নিজের সেলে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে। নিয়মিত রোজা রাখছে, নামাজও পড়ে। বিশেষ করে ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর থেকে আগের মতো আচরণ করছে না।
ঐশী যে ওয়ার্ডে থাকেন সেখানে তিনি সর্বকনিষ্ঠ হওয়ায় সবার আদর-স্নেহও তার প্রতি বেশি। নিয়মিত পড়াশোনাও করছে। ইচ্ছা আছে ও লেভেল সম্পূর্ণ করবে। তবে সার্বক্ষণিক চিন্তা একমাত্র ছোট ভাইটিকে নিয়ে। প্রায় একবছর ধরে ভাইটির সঙ্গে তার দেখা হয়নি। জেল জীবনে নিকট কিংবা দূরবর্তী কেউ তার খোঁজ নেয় না। একমাত্র ব্যতিক্রম এক চাচা। একমাত্র তিনিই খোঁজখবর নিচ্ছেন। নিয়মিত কাশিমপুর মহিলা কারাগারে যান। তবে নানা-মামাদের কেউ খোঁজ নিতে কখনো জেলখানায় যাননি। একমাত্র চাচাই জেলে এসে তার জন্য জামা-কাপড়, খাবার ও পিসির (প্রিজনারস ক্যান্টিন) জন্য টাকা দিয়ে যান। দীর্ঘদিন চাচাকে না দেখলে অস্থির হয়ে পড়ে ঐশী। জেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন চাচাকে আসার জন্য। চাচার কাছে খোঁজ নেন আদরের ছোট ভাইটির।
ঐশীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তার ছোট ভাইকে কিছু জানানো হয়নি। সে এখন তার চাচার কাছে থাকে। যেসব বন্ধুদের সঙ্গে তার ছিল ‘আত্মার’ সম্পর্ক, যারা ছিল তার আপনজনদের চেয়েও বেশি তাদের কেউ তার খোঁজ নেয়নি।
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার উম্মে সালমা জানান, ঐশী এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, আমরা কখনো কোনো হাজতিকে তার অতীত মনে করিয়ে দেই না। আমরা চাই এখানে (জেল) থেকে সবাই সংশোধিত হোক। অতীতে কে কী করেছে আমাদের কাছে তা মুখ্য নয়। মুখ্য তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবন। আমরা সেভাবেই বন্দীদের দিক নির্দেশনা দেই। ঐশীকেও তাই দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ঐশীকে নিয়মিত নামাজ আদায়ের জন্য বলি। সেও আমাদের কথা শোনে। তার বয়স বিবেচনায় তাকে ভালো ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছে। জেলে যাদের ব্যবহার ও আচরণ ভালো তাদের সাথেই তাকে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তার চাহিদা অনুযায়ী জেল থেকে তার জন্য বই কিনে দেয়া হয়েছে। সে নিয়মিত পড়াশোনা করছে। তার ইচ্ছা ও লেভেল পরীক্ষা দিবে। এ বিষয়ে আমারা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।
বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ২০১৫ সালে ঐশীকে ফাঁসির আদেশ দেয় বিচারিক আদালত। তার বন্ধু রনির সাজা হয় দুই বছরের কারাদণ্ড। পরে আপিলে ২০১৭ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত ঐশীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে। সেই থেকে ঐশী স্থায়ীভাবে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের বাসিন্দা।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট সকালে চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই ঐশী বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
পরদিন ১৭ আগস্ট মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে তার বাবা-মাকে খুন করার কথা জানায়। পরে ২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় ঐশী। তবে পরে ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু সাক্ষ্য, আলামত ও অন্যান্য যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তা নাকচ হয়ে যায়।
- ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
- রোববার যেসব এলাকায় ব্যাংক বন্ধ থাকবে
- কোলে চড়ে ভোট দিলেন বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় নারী
- সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের রহস্য ফাঁস
- নিয়োগ দেবে হীড বাংলাদেশ, যারা আবেদন করবেন
- অন্দরে সবুজের ছোঁয়া, গরমে মিলবে স্বস্তি
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
- যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
- বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ
- কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু
- পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
- বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ
- আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- গরমে শিশু ও নবজাতকের যত্ন কীভাবে নিবেন
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- শবে বরাত যেভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎসবে পরিণত হলো