কে এই সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা?
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃহীত
জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও প্রকাশের পর ওএসডি হয়েছেন। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, (ডিসি) আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতও হতে পারেন তিনি।
যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও যাকে ঘিরে সেই অফিস সহকারী (পিয়ন) সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা কে সেটি জানতে মুখিয়ে আছেন আপনারা। তাই এই আলোচিত সমালোচিত নারী অফিস সহকারী (পিয়ন) সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাকে নিয়ে পাঠকদের জন্য আমাদের এই প্রতিবেদন।
কে এই সাধনা: সাধনার জন্ম জামালপুর শহরের পাথালিয়া গ্রামে। তার মায়ের নাম ফেলানী বেগম এবং বাবার নাম অহিজুদ্দিন। অহিজুদ্দিন পেশা ছিল ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে মালামাল আনা-নেয়া। আর মা ফেলানী বেগম এর ওর বাসা বাড়িতে টুক-টাক কাজকর্ম স্বামীর আয়ে সহায়তা করতেন।
সাধনার জন্মের সময় অহিজুদ্দিনের ঘরে চরমভাবে অভাব দেখা দেয়। অভাবের তাড়নায় সাধনার বয়স যখন ৭ দিন, তখন তার মা বাবা তাকে দত্তক দেন মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের সুখনগরী গ্রামের নিঃসন্তান খাজু মিয়া ও নাছিমা আক্তার দম্পতির কাছে।
পরে তাদের লালন-পালনে বেড়ে ওঠা সাধনার লেখাপড়া চলাকালেই বিয়ে হয় একই উপজেলার জোনাইল গ্রামের বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী জাহিদুল ইসলামের সাথে। তাদের ঘরে পূর্ণ নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তার সংসারেও হানা দেয় কষ্টের নীল ছোবল। ২০০৯ সালে মারা যান সাধনার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর তার পালক পিতামাতার সাথে জামালপুর শহরের বগাবাইদ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
এরপর শুরু হয় সাধনার উশৃঙ্খল জীবন-যাপন ও অবাধ চাল-চলন। পরবর্তিতে টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে পালিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু উশৃঙ্খল জীবন-যাপন ও অবাধ চাল-চলনের কারণে টেকেনি দ্বিতীয় বিয়েটিও।
দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তিনি নিজ ঘরেই দোকান দিয়ে বিক্রি করতেন দেশি-বিদেশি প্রসাধনী। সেই ব্যবসাতেও টিকতে না পেরে শুরু করেন হস্তশিল্পের ব্যবসা। ২০১৮ সালের উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নিয়েই ডিসি আহমেদ কবীরের সাথে গড়ে ওঠে তার সম্পর্ক।
সম্প্রতি ওই ভিডিও প্রকাশ হলে মুখরোচক নানা কথা বলতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যারা ভয়ে এতদিন আহমেদ কবীর ও তার শয্যাসঙ্গীকে নিয়ে কোন কথা বলেননি, তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সানজিদা ইয়াসমিন অফিসে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন। শুধু কর্মচারীরাই নন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও তিনি পাত্তা দিতেন না। চাকরি হারানোর শঙ্কায় প্রতিবাদ করতে সাহস পেতেন না কেউ।
তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সাথে দেখা করেন সাধনা। সে সময় সাধনার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেন ডিসি আহমেদ কবীর। পরে উন্নয়ন মেলা চলাকালে আহমেদ কবীরের সঙ্গে সখ্য আরও গভীর হয়। একপর্যায়ে সে সখ্য রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। সম্প্রতি সেই অবৈধ সম্পর্কের একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল হয়। তারপর থেকে ‘টক অব দি কান্ট্রি’তে পরিণত হন তারা।
যেভাবে চাকরি পান সাধনা: চলতি বছর জানুয়ারিতে ডিসি অফিসে ২৭ জনকে অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদসহ ৫৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ডিসি অফিসে পিয়ন (অফিস সহকারী) পদে নিয়োগ পান সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। সেই সঙ্গে তার দুই আত্মীয় রজব আলী ও সাবান আলীকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন তিনি।
অফিস সহায়ক বা সহকারী পদে সাধনা যোগদান করার পর জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষের পাশে ‘খাসকামরা’ হয়ে ওঠে মিনি বেডরুমে। যেখানে খাট ও অন্যান্য আসবাবপত্র দিয়ে সাজ-সজ্জা করা হয়। সে রুমেই চলত আহমেদ কবীর-সাধনার রঙ্গলীলা। অফিস চলাকালে তাদের রঙ্গলীলা অবাধ ও নির্ঝঞ্ঝাট করতে সেই কামরার দরজায় বসানো হয় লাল ও সবুজ বাতি। রঙ্গলীলা চলাকালে ‘লালবাতি’ জ্বলে উঠত। সে সময় দরজার সামনে পাহারায় থাকতেন তাদেরই বিশ্বস্ত কোনও অফিস সহকারী।
যতক্ষণ লালবাতি জ্বলতো সাক্ষাৎপ্রার্থীতো দূরের কথা কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় তার অফিসের বাইরে ফাইলপত্র নিয়ে অপেক্ষায় থাকতেন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাক্ষাৎপ্রার্থীরা। লীলা শেষ করে পরিপাটি হয়ে যখন চেয়ারে বসতেন, তখন জ্বলে উঠতো সবুজ বাতি। ‘সবুজ বাতি’ জ্বলে ওঠার পরই শুরু হতো তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম।
-জেডসি
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- বুবলীর পর মাহির ছেলের জন্মদিনে সরব পরীমণি
- যে ৫ খাবার নিয়মিত খেলে আয়ু কমে
- বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ এন্ডোমেট্রিয়োসিস,যেসব লক্ষণে সতর্ক হবেন
- এভারকেয়ারে নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও করা যাবে আবেদন
- পঞ্চগড়ে চাষ হচ্ছে সুপার ফুডখ্যাত কিনোয়া
- ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রীর তথ্য ফাঁস!
- টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা
- মাধ্যমিক স্তরে:
নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ৩৪.৮৭ শতাংশ - রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম
- নাবালকেরা সমাজিকমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না
- বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান
- সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫
- ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- ‘অণুছড়া’ এবং ‘আমার ছড়া কথা বলে’ চলে এসেছে
- বইমেলায় আইরীন নিয়াজী মান্নার ৭টি বই
- বইমেলায় কানিজ কাদীরের কবিতার বই ‘মন’
- আজ জমবে বইমেলা
- টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশে ক্যান্সারের ঝুঁকি!
- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেভাবে কাজ করে
- সংরক্ষিত নারী আসনে আ. লীগের ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা
- সেলাই প্রশিক্ষণে ভাগ্য বদল কুষ্টিয়ার নারীদের
- জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপ: ব্রোঞ্জ জিতলেন প্রণতি
- ২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি টাকা অনুমোদন
- জাপার সভায় গান গাইলেন রওশন এরশাদ
- যুদ্ধশিশু ও এতিম দেখিয়ে শিশু পাচার: পুরনো ঘটনার তদন্ত দেশে
- জেনে নিন চিয়া সিডস খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- একুশে বইমেলায় কানিজ কাদীরের ‘অনুধাবন’
- ৩ সিম ব্যবহার করা যাবে যে ফোনে