ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৮:১২:৩০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৯ শনিবার

হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি বাবুই পাখির বাসা।একই সঙ্গে বিরল হয়ে যাচ্ছে দর্জিপাখি বাবুইও। বাবুই পাখির বাসা আজ স্মৃতির অন্তরালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।আজ থেকে প্রায় ১০-১২ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জে তাল, নারকেল ও সুপারি গাছে দেখা যেত বাবুই পাখির নিপুন কারু কাজে তৈরি দৃষ্টিনন্দন বাসা।

রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে এখন আর আগের মত বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ে না। এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জাগ্রত এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করত। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আজ এ পাখিটি আমরা হারাতে বসেছি।

গাছের ঝুড়ির মতো চমৎকার বাসা বুনে বাস করায় এ পাখির পরিচিতি জগৎ জোড়া। খড়, তাল গাছের কচি পাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতা-পাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে চমৎকার বাসা তৈরি করতো বাবুই পাখি। সেই বাসা যেমন আকর্ষণীয় তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ভেঙ্গে পড়ে না। বাবুই পাখির শক্ত বুননে এ বাসা টেনেও ছেঁড়া যায় না। এ জন্য অনেকেই এতে দর্জি পাখি বলে ডেকে থাকেন।

বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করতে জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে ছেড়ে দেয়। একটি বাসা তৈরি করার পর পুরুষ বাবুই পাখি সঙ্গির খোঁজে নামে। সঙ্গি পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুই পাখিকে সাথি বানানোর প্রয়োজনে পুরুষ বাবুই নিজেকে আকর্ষণীয় করতে খাল, বিল ও ডোবায় ফুর্তিতে নেচে নেচে বেড়ায় গাছের ডালে ডালে।

প্রজনন সময় ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির গায়ে কালো কালো দাগসহ পিঠ হয় তামাটে বর্ণের। নিচের দিকে কোন দাগ থাকে না। ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাড় বাদামি। বুকের ওপরের দিকটা হয় ফ্যাকাশে; অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির চাঁদি পিঠের পালকের মতই বাদামি হয়। বুকের কালো ডোরে ততটা স্পষ্ট নয়।

বাবুই পাখি সাধারণত তাল, খেজুর, নারকেল ও আখ ক্ষেতে বাসা বাঁধে। ধান, চাল, গম ও পোকা-মাকড় প্রভৃতি তাদের প্রধান খাবার। একসময় বিলাইছড়িসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে দেখা যেত শ’ শ’ বাবুই পাখির বাসা। বর্তমানে যেমন তালগাছসহ বিভিন্ন গাছ নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে। তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখিও। পরিবেশবিদরা বলছেন বাবুই পাখির এ শৈল্পিক নিদর্শনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।