ঢাকা, শুক্রবার ১৩, ডিসেম্বর ২০২৪ ৮:৫৭:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর গানবাংলা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা কেমন আছেন পাপিয়া সারোয়ার, মৃত্যু নাকি গুঞ্জন? পঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো শিশির, শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

আমার ছড়ার জার্নি: ওরে আমার ছড়া রে 

লুৎফর রহমান রিটন  | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার

লুৎফর রহমান রিটন 

লুৎফর রহমান রিটন 

সারাটা জীবন বিচিত্রসব বিষয় নিয়ে ছড়া লিখেছি আমি। প্রথম ছড়ার প্রকাশকাল ১৯৭২। দৈনিক ইত্তেফাকে। আমার মেন্টর রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই পরম স্নেহে তাঁর সম্পাদিত কচি-কাঁচার আসরে ছেপে দিয়েছিলেন জীবনের প্রথম ছড়াটা। সেই থেকে শুরু হয়ে আজ সকাল পর্যন্ত (১৯৭২-২০২৪) ক্যালেন্ডারের হিশেব অনুসারে আমার নিরন্তর ছড়া রচনার সময়কাল বায়ান্ন বছর। এই বায়ান্ন বছরে প্রায় প্রতিদিন নিদেন পক্ষে একটি-দু'টি পঙ্‌ক্তি হলেও লিখেছি আমি। লিখি আমি। কোথায় যেনো পড়েছিলাম--Not a day without a line. অনেকটা সেই রকম। এটা আমার এক জীবনের সাধনাও বলা চলে। 
গ্রীস্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্তের প্রতিদিনই জারি থাকে আমার ছড়াপ্রয়াস। ছড়ার দেবী তাই আমাকে ছেড়ে যায় না কখনোই। দু'হাত ভর্তি উপচে পড়া ছড়ার পঙ্‌ক্তি উপহার দেয় নিত্য নতুন।
প্রতিদিন ছড়া লিখবার মতো প্রতিদিন ছড়া পড়ারও একটা অভ্যেস আমার এক জীবনের। চেনা অচেনা নবীন প্রবীন বিখ্যাত অখ্যাত সবার ছড়াই পড়ি আমি। অন্যের ছড়ার পাশাপাশি কখনো কখনো পড়ি নিজের ছড়াও। নিজের লেখা পুরনো ছড়া বা ছড়ার বই গভীর মমতায় পাঠ করি নবীন একজন ছড়াকর্মী বা পাঠকের মতোই।
আজ সন্ধ্যায় কি মনে করে বুকশেলফ থেকে তুলে নিলাম ২০১০ সালে ইতি প্রকাশ নামের প্রকাশনী থেকে বেরুনো অতিশয় সরু লিকলিকে দেহের ছড়ার বই 'ওরে আমার ছড়া রে' নামের বইটাকে। এই বইটা আমার বিশেষ প্রিয়। শিল্পী মাহবুব কামরানের অন্যরকম প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণের কারণে। তিনি আমার এই একটি বইয়েরই ছবি এঁকেছেন। (তিনি প্রয়াত হয়েছেন।)
শিল্পী ও লেখক মাহবুব কামরানের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাবার ইচ্ছে থেকে আমার ফেসবুক বন্ধুদের জন্যে 'ওরে আমার ছড়া রে' নামের সেই বই থেকে তাঁর আঁকা এবং আমার ছড়ার একটা নমুনা এখানে পেশ করছি।  
ছড়াটার নাম অনুসারেই বইটির নামকরণ করা হয়েছিলো।             
চৌদ্দ বছর আগে রচিত ও প্রকাশিত ছড়াটা ছিলো এরকম--
ওরে আমার ছড়া রে
লুৎফর রহমান রিটন
ওরে আমার ছড়া রে
পড়তে তোকে দারুণ মজা, ছন্দে ছন্দে গড়া রে। 
ওরে আমার ছড়া রে  
ছুটে বেড়াস এদিন ওদিক যায় না তোকে ধরা রে। 
ওরে আমার ছড়া রে  
ছন্দে যদি ভুল থাকে তো যায় না তোকে পড়া রে।
ওরে আমার ছড়া রে  
মাঝে মধ্যে লাজুক নরম, মাঝে মধ্যে কড়া রে। 
ওরে আমার ছড়া রে  
তোর রূপে তোর রঙে শোভায় সাজলো বসুন্ধরা রে। 
ও ছড়া তুই মন্ডা-মিঠাই? তুই তো রসে ভরা রে! 
ওরে আমার ছড়া রে! 

অটোয়া ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪