থাইল্যান্ডের পাতায়ার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো
লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:৪৯ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার
সংগৃহীত ছবি
পৃথিবীর রূপ দেখে যারা মুগ্ধ হতে চান তাদের বেশিরভাগের ভ্রমণতালিকায় থাকে থাইল্যান্ডের নাম। সমুদ্র, পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য একদম উপযুক্ত দেশটি। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ থাইল্যান্ড ভ্রমণে যান। দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় একটি শহর পাতায়া। রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৫৮ কিলো দূরে এর অবস্থান।
এশিয়ার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হানিমুন স্পট হিসেবে পরিচিত এই পাতায়া। সমুদ্রের হাতছানির সঙ্গে সঙ্গে জমকালো রাতের দেখা মেলে এখানে। প্রকৃতির আলো নিভে গেলে যেন পাতায় নিজস্ব আলো ঝলকানি দিয়ে ওঠে। থাইল্যান্ডের এই সুন্দর সমুদ্র সৈকত ঘেঁষা শহর ভ্রমণে গেলে কোন কোন স্থানগুলো ঘুরতে যাবেন? চলুন জেনে নিই-
নং নুচ বোটানিক্যাল গার্ডেন
থাইল্যান্ডের চনবুরি প্রদেশের ২ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই পর্যটনকেন্দ্রটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন। পুরো গার্ডেনটি বিভক্ত কতগুলো ছোট ছোট গার্ডেনে।
এই গার্ডেনে প্রবেশের মুখেই রয়েছে ক্যাকটাস গার্ডেন, যেখানে একটি লম্বা কাঁচের ঘরে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাসের। দ্যা গার্ডেন ইন দ্যা স্কাইয়ে গেলে দেখা যাবে মাটি থেকে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে এবং ছাদ থেকে ঝুলে রয়েছে বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদ। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাগানটি ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে একটি লিফট বা স্কাইওয়াক।
নং নুচে দুটি ফরাসি বাগান রয়েছে যেগুলো তৈরি হয়েছে ফ্রান্সের ভার্সাই বাগানের আদলে। ফ্রেঞ্চ গার্ডেন-২-এর পাশেই রয়েছে ডাইনোসর ভ্যালী, যেখানে পরিচিত হওয়া যাবে ১৮০ টিরও বেশি ডাইনোসরের প্রতিলিপির সঙ্গে।
ইতালীয় বাগানে পুরোটাই সাজানো বিভিন্ন ইতালীয় মার্বেল মূর্তিতে। স্টোনহেঞ্জের প্রতিরূপ দিয়ে বানানো হয়েছে স্টোনহেঞ্জ গার্ডেন। নং নুচের পূর্বদিকে আছে দুটি হ্রদ, যেখানে দেখা যাবে আমাজন নদীর বিশেষ ধরনের মাছ অ্যারাপাইমাস গিগাস। পুরো বাগান ঘুরে দেখার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য রয়েছে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মার্শাল আর্ট এবং হাতির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। এমনকি এখানে থাকার জন্য বেশ কিছু রিসোর্ট, ভিলা এবং খাওয়া-দাওয়ার জন্য আছে রেস্তোরাঁও।
প্রাপ্তবয়স্ক বিদেশি পর্যটকদের জন্য নং নুচে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৬০০ থাই বাত বা ২ হাজার ৬০ টাকা (১ থাই বাত = ৩ দশমিক ৪৩ বাংলাদেশি টাকা)।
পাতায়া সমুদ্র সৈকত
শহরের কেন্দ্রের সমান্তরালে অবস্থিত এই সৈকতটি শহরের সব থেকে নান্দনিক স্থান। উপকূলকে একপাশে রেখে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকত। দক্ষিণে সৈকতের সীমান্তে রয়েছে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান ওয়াকিং স্ট্রিট।
উত্তর সৈকত দক্ষিণের তুলনায় সাধারণত একটু শান্ত থাকে। সারিবদ্ধ পাম গাছের এই অত্যাশ্চর্য সমুদ্র সৈকতটি সূর্যস্নান ও সাঁতারের জন্য বিখ্যাত। পাতায়ার সবচেয়ে বিখ্যাত নাইটলাইফ হাব এটি। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সৈকতের লাগোয়া ওয়াকিং স্ট্রিট ভরে ওঠে নিয়ন আলো, জমজমাট বার এবং পথশিল্পীদের কলাকৌশলে।
ফ্রা তাম্নাক পাহাড়
পাতায়া সৈকত এবং পাতায়ার দক্ষিণ দিকে জোমতিয়েন সৈকতের মাঝে অবস্থিত এই পাহাড়টি পর্বতপ্রেমিদের প্রিয় গন্তব্য। পাহাড়ে অবস্থিত চালোম ফ্রাকিয়াত পার্ক থেকে পাখির চোখে আশপাশের বিস্ময়কর দৃশ্যের পর্যবেক্ষণ করা যায়।
এই পাহাড়ের রয়েছে ওয়াত ফ্রা ইয়াই মন্দির, যার কারণে পর্বতটিকে বিগ বুদ্ধ হিলও বলা হয়ে থাকে। এই বৃহদাকার বুদ্ধের স্বর্ণ মূর্তিটি গোটা পাতায়ার ল্যান্ডস্কেপগুলোর একটি। এটি পাতায়া শহরের সর্বোচ্চ স্থান, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ৯৮ মিটার। পাহাড়ের উত্তর প্রান্ত দিয়ে নিচেই রয়েছে শহরের জনপ্রিয় ওয়াকিং স্ট্রীট এবং ফেরি ঘাট বালি হাই পিয়ার।
পাতায়া আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড
সাগরে সাঁতার না কেটেও জলজ জগতকে খুব কাছে থেকে দেখার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে এই দৈত্যাকার অ্যাকোয়ারিয়ামটি। ১৫০ মিটার দীর্ঘ টানেল পরিদর্শনের সময় দেখা মিলবে প্রায় ২০০-এর অধিক প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর। বিশাল শঙ্কর মাছ থেকে শুরু করে হাঙ্গর পর্যন্ত প্রাণীগুলো দর্শনার্থীদের ঘিরে তাদের রাজকীয় উপস্থিতি জানান দিতে থাকে।
স্যাঙ্কচুয়ারি অফ ট্রুথ
এই জাদুঘরের অবকাঠামোটি মূলত মন্দির ও দুর্গের একটি সমন্বিত রূপ। স্থাপনাটি সম্পূর্ণভাবে কাঠের তৈরি। এর ভেতরের দর্শনীয় প্রতিটি বস্তুই কাঠের তৈরি। এই কাঠগুলো শত শত বছরের পুরনো। ধারণা করা হয় সবচেয়ে প্রাচীনতম ‘তাকিয়েন’ কাঠের বয়স প্রায় ৬০০ বছর।
জাদুঘর পরিদর্শনের পাশাপাশি এখানে থাই বোট রাইড, হাতির পিঠে চড়া, ঘোড়ার পিঠে বা ঘোড়া গাড়িতে চড়া, স্পিডবোট রাইড এবং থাই পোশাক ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইউএনবি
- নোংরামি ছড়ানো মানসিক অসুস্থতা : স্পর্শিয়া
- ফিফার সহায়তায় আরো ‘ঋতুপর্ণা’ তুলে আনবে বাফুফে
- বিএনপিতে যোগ দিলেন ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বীর নারী-পুরুষ
- আগারগাঁও রেডিও স্টেশনের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
- দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
- রাতে যাত্রাবাড়ী, উত্তরায় তিন বাসে, বসুন্ধরায় প্রাইভেট কারে আগুন
- মানসিক যন্ত্রণা ভুলতে যা করতেন রিয়া চক্রবর্তী
- ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, ময়মনসিংহ-নেত্রকোণায় ট্রেন চলাচল বন্ধ
- আজ শ্রেণিকক্ষে ফিরছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
- মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর, আবেদন শুরু আজ
- চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে আরও ৭ পরিবারের মামলা
- বাজার খরচ কমানোর উপায় জেনে নিন
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর
- প্রচারণায় প্রথমবারের মতো নিষিদ্ধ পোস্টার
- গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকায় ৮ দলের সমাবেশ দুপুরে
- ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য সম্মানজন নয়
- ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৭৯
- হাজার ভিউ থেকেও আয় করা সম্ভব
- ‘ওই মানুষটা আমার মুখ চেপে ধরেছিল’
- ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
- নির্বাচন ঘিরে নাশকতার শঙ্কা
- অনলাইনে হয়রানি, পুলিশে অভিযোগ করলেন অভিনেত্রী
- জীবনধারা পাল্টালেই ৮০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য
- দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষা স্থগিত
- আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বৈঠক
- আরএসএফ হামলার মুখে এল-ফাশর ছাড়ল ৩২৪০ পরিবার
- ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’র বোর্ড চেয়ারম্যান হচ্ছেন নাজমা মোবারেক
- শীতে অ্যাজমা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
- মাঠ পর্যায় থেকে উঠে যাচ্ছে এনআইডির বয়স সংশোধন
- টালবার্গ গ্লোবাল লিডারশিপ পুরস্কারের চূড়ান্ত তালিকায় উমামা-তিথি










