ঢাকা, শুক্রবার ১৩, ডিসেম্বর ২০২৪ ৮:৩৭:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর গানবাংলা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা কেমন আছেন পাপিয়া সারোয়ার, মৃত্যু নাকি গুঞ্জন? পঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো শিশির, শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

রাজাপুরের বধ্যভূমি আজো অরক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধা ও পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুমূল গোলাগুলি হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাতভর যুদ্ধের পরে হানাদার বাহিনী পিছু হটে। 
২৩ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকবাহিনী। এতে ৯ নম্বর সেক্টরের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির রাজাপুর থানা সর্বপ্রথম পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়। ৯ নম্বর সেক্টরের মধ্যে সর্ব প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় রাজাপুরে। শত্রুমুক্ত হয় রাজাপুর থানা, বন্ধ হয় গণহত্যা। 

মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। রাজাপুর থানা মুক্ত হওয়ার ১৫ দিন আগে উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ও বাবুল হোসেন পাক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ হন। ২২ নভেম্বরের রাতে যুদ্ধে শহিদ হন আবদুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক এবং গুরুতর আহত হন মো. হোসেন আলীসহ কমপক্ষে ২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। 

সেদিনের এ যুদ্ধে তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ৯ নং সেক্টরের অন্যতম সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। এ সময় ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমর বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন। 

৯ নং সেক্টরের মধ্যে সর্বপ্রথম রাজাপুর থানা শত্রু মুক্ত হওয়ায় ১৯৯৫ সালে রাজাপুরে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা মিলন কেন্দ্র। এছাড়া শহিদের স্মরণে তাদের নামানুসারে রাজাপুরে কয়েকটি সড়কের নামকরণ করা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও রাজাপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত দুটি বধ্যভূমি এবং তিনটি গণকবরসহ সাতটি স্থান আজও অবহেলিত ও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। উদ্যোগের অভাবে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে এসব স্থানগুলো। 

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ বলেন, ‘বধ্যভূমিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়াও বধ্যভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।