ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৮:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেদিন শপথ নেবেন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমেই যে ৭ কাজ করবেন ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয় নির্বাচনে হেরে যা বললেন কমলা হ্যারিস ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন কমলা ঢাকার রাস্তায় কেউ দোকান বসাতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

লালন স্মরণোৎসব: ভাঙছে মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় আয়োজিত তিন দিনের লালন স্মরণোৎসবের আজ শনিবার শেষ দিন।

 গত দু’দিন লালন ভক্ত, অনুসারী বাউল, ফকিরদের গান, সাধুসঙ্গ, ভাব আলোচনাসহ নানা কর্মকাণ্ডে মুখরিত ছিল আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ। আজ ভাঙবে সেই মিলনমেলা।     
এর আগে গতকাল সকালে বাল্যসেবায় দই ও চিড়া নাশতা দেওয়া হয় বাউলদের। দুপুরে পুণ্যসেবায় ভাত, ডাল, সবজি ও ইলিশ খান তারা। এর পর লালন মতে দীক্ষিতদের খেলাফত (শিষ্যত্ব) প্রদান করেন তাদের নিজ নিজ গুরুরা। এসব লৌকিক রীতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় লালন শাহের তিরোধান দিবসে বাউল ও ভক্তদের মূল অনুষ্ঠান সাধুসঙ্গ। 
তার আগে গত বৃহস্পতিবার চিরাচরিত গুরুবাদী ধর্মের নিয়মে সূর্য ডোবার পরপরই অধিবাসের মাধ্যমে শুরু হয় বাউল ফকিরদের অষ্টপ্রহরের গুরুকার্য। 

সাধুসঙ্গ গতকাল সাঙ্গ হলেও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমির আয়োজনে তিন দিনব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হবে আজ মধ্যরাতে। তবে স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গ্রামীণ মেলা চলবে আরও কয়েকদিন। 
গতকাল দেখা যায়, পুরো আখড়াবাড়িতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাধু, বাউল, লালনভক্ত আর অনুসারীদের গান, আলোচনা আর ভাব বিনিময়ে আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণজুড়ে যেন বিরাজ করছে অন্যরকম এক পরিবেশ। দুপুর ২টার দিকে লালন একাডেমির প্রবেশপথ, লালন শাহর মাজার প্রাঙ্গণ, আখড়াবাড়ি, মেলার মাঠ হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। আখড়াবাড়ির ভেতরে হাজার হাজার বাউল ও লালন অনুসারী সাদা কাপড় পরা। অন্য পোশাকেও আছেন অনেকে। দুপুরে তাদের আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুণ্যসেবার ভাত, ডাল, সবজি ও ইলিশ খেতে দেওয়া হয়। রীতি অনুযায়ী সাধু-গুরুরা সবাই একসঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। 


লালন একাডেমির শিক্ষার্থী মুসলিমা খাতুন বলেন, ‘সাঁইজি সবসময় মানুষকে ভালো পথে আনা ও ভালোবাসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমেই স্রষ্টা পর্যন্ত পৌঁছানো যায়। সে জন্য সাঁইজি বলেছেন, মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।