শেরপুরে পশ্চিম ঘাগড়া কুনাপাড়া বধ্যভূমি রক্ষণাবেক্ষণের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার

শেরপুরে পশ্চিম ঘাগড়া কুনাপাড়া বধ্যভূমি
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম ঘাগড়া কুনাপাড়া বধ্যভূমিটি অবহেলা অযত্নে পড়ে আছে। শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের কয়ারি রোড় এলাকা থেকে ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তা পেরোলেই এই বধ্যভূমি।
নাম না জানা শত-শত শহীদের স্মরণে এখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় বধ্যভূমিটি অযত্নে পড়ে আছে। কোনো নামফলক নেই। ফলে এলাকাবাসী ছাড়া নতুন কেউ বুঝতেই পারবে না এই ঐতিহাসিক বধ্যভূমি এটি। জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী জেলার সবচেয়ে বড় ক্যাম্প স্থাপন করে কয়ারি রোড় এলাকায়। এখানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করা হতো। ক্যাম্পের পাশেই ছিল টর্চার সেল। যুদ্ধের সময় মানুষের আর্তচিৎকার এখান থেকে ভেসে আসত। ক্যাম্পের ৫০০ মিটার পশ্চিম পাশে ১০ শতাংশ জমিজুড়ে গভীর গর্ত ছিল। যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী অসংখ্য মানুষকে ধরে এই ক্যাম্পে এনে নির্যাতন করে মেরে ফেলত। পরে এই গর্তে মরদেহ ফেলে দিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রামবাসী এলাকায় ফিরে আসেন। তখন বড় গর্তটিতে অসংখ্য লাশ দেখতে পান তারা। গ্রামবাসী মিলে লাশগুলো মাটিচাপা দেন।
২০০৮ সালে সেনাবাহিনী ১২ শতাংশ এই বধ্যভূমির জমি অধিগ্রহণ করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। পাকিস্তানি ক্যাম্পের জায়গায় হাতীবান্দা ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণ করা হয়েছে। টর্চার সেলটিতে এখন ধানের চাতাল করা হয়েছে। ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে স্মৃতিস্তম্ভের দেখা মেলে। চারপাশে নীরবতা। কোলাহলমুক্ত গ্রামের বাঁশঝাড়ের নিচে শত-শত শহীদের গণকবর। কোনো নামফলক নেই। কাছে গিয়ে কেউ দেখিয়ে না দিলে জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি সম্পর্কে বুঝা যাবে না। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় ১০ শতাংশের স্তম্ভের বেদীটি অযত্নে পড়ে আছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান আকন্দ স্মৃতিস্তম্ভটি সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার দাবি জানান।
হাতীবান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন বলেন, এই বধ্যভূমির কোনো সীমানাপ্রাচীর নেই। এমনকি দেখাশোনার জন্য কোনো কমিটিও নেই। তিনি নিজ উদ্যোগে মাঝে-মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্ম যেন এই বধ্যভূমির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে, সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহ্বুব বলেন, জেলার সবগুলো বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
সূত্র : বাসস
- ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যা
- আইনি মোড় নিল টুইট-যুদ্ধ, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
- করোনা আক্রান্ত সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী
- করোনায় আরও ২৩ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৬৯
- সরাসরিই হবে বইমেলা, তারিখ চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী
- নোয়াখালীতে ফের নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলা
- চিনে এবার আইসক্রিমে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস
- ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: আট ছাত্রলীগ নেতার বিচার শুরু
- পরিবার নিয়ে দেখার মতো চলচ্চিত্র তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী
- বাইডেন সরকারের ১৩ পদে ভারতীয় নারী, থাকতে পারে বাংলাদেশীও
- পৌরসভা নির্বাচন: আওয়ামী লীগ ৪৬, বিএনপি ৪, অন্যান্য ৯
- তিন হাজার মিটারে নতুন রেকর্ড গড়লেন রিংকি
- পুরো মাসজুড়েই থাকবে শীত
- কাল শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন
- আফগানিস্তানে হামলায় ২ নারী বিচারক নিহত
- ভ্রমণকাহিনি: চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলে একদিন
- ছড়া : ছোট্ট পাখি টুনাটুনি
- আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
- বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী দেশের অধিকাংশই এশিয়ায়
- কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই
- শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে কমিটি গঠন
- করোনা আক্রান্ত নজরুল ইসলাম খান
- মর্গে রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না!
- রাজধানীতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম
- স্কুলে ভর্তির বিষয়ে কাল শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- আনুশকা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানাল মহিলা পরিষদ
- কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী কাল
- উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় জেঁকে বসেছে শীত
- নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
- দেশে মাস্ক নিয়ে ফের কারসাজি, বাড়ছে দামও