ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ২২:৩০:১৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

আতঙ্ক, উদ্বেগ ও হতাশা : ঢাকা এখন ভিক্ষুকের শহর

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৮ পিএম, ২২ মে ২০২০ শুক্রবার

আতঙ্ক, উদ্বেগ ও হতাশা : ঢাকা এখন ভিক্ষুকের শহর

আতঙ্ক, উদ্বেগ ও হতাশা : ঢাকা এখন ভিক্ষুকের শহর

রাজধানী ঢাকাকে এখন ভিক্ষুকের শহর বললে অত্যুক্তি হবে না। ঢাকা শহরে এখন যে কোন জায়গায় গেলেই ভিক্ষুকের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ার মতো।

এতো ভিক্ষুক এর আগে কেউ কখনো দেখেছে কি না সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে। শহরের যে কোন যে কোন সুপার শপ, মুদি দোকান কিংবা কাঁচাবাজারে গেলেও চারপাশ থেকে ভিক্ষুক ঘিরে ধরবে।

গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি এবং উত্তরাসহ শহরের অভিজাত এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে ভিক্ষুকদের বসে থাকতে দেখা যায়। এমনকি মধ্যবিত্ত-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেও ভিক্ষুকদের আহাজারিতে মন ভারি হয়ে আসে।

নিজের পেশাগত কাজে অনেক সময় মধ্য রাতে বাসায় ফিরেতে হয়। রাত বারোটার সময় ঢাকার এয়ারপোর্ট রোডের বিভিন্ন জায়গায় শতশত ভিক্ষুক বসে থাকতে দেখা যায়।

এদের সবাই সবসময় ভিক্ষা করেনা। এসব ভিক্ষুকদের মধ্যে অনেকে আছেন রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক কিংবা গৃহপরিচারিকা।

দেশে তথাকথিত লকডাউন দেখিয়ে দিয়েছে এদেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিনের রোজগারের উপর নির্ভরশীল। একদিন আয় না থাকলে রাস্তায় নেমে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয় অনেকে।

দেশে যে কোন সংকট তৈরি হলেই সবার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কথা উঠে। তাদের জীবন-জীবিকা নিয়ে যতো আলোচনা হয়, অন্য শ্রমিকদের নিয়ে ততটা আলোচনা হয়না।

'লকডাউনের' কারণে যে পরিবহন শ্রমিক, রিকশাচালক, অটোমোবাইল মিস্ত্রি রাস্তায় নেমে হাত পাততে বাধ্য হয়েছে তাদের কথা কেউ ভেবেছে কি না সেটি এক প্রশ্ন।

শুধু তাই নয়, শহরে যারা বিভিন্ন ধরণের ছোটখাটো দোকান চালিয়ে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে তাদের অবস্থাও শোচনীয়।

ঢাকার মিরপুরে একটি ছোট লন্ড্রি চালান ফিরোজ আহমেদ। স্বাভাবিক সময় প্রতিমাসে তার আয় ছিল ২০ হাজার টাকার মতো। কিন্তু লকডাউনের গত দুইমাসে তিনি ৫০০ টাকাও আয় করতে পারেননি।

ফিরোজ আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস আসার পর থেকে মানুষ জামা-কাপড় ইস্ত্রি করতে দেয় না। একদম বন্ধ করে দিছে। দোকান বন্ধ করে কয়েকদিন সবজি বিক্রি করছি। তা-ও বিক্রি হয় না। মানুষ তো নাই, কে কিনবে।