আত্মীয়ের বাড়ি মেহেদি লাগাতে গিয়ে ‘গণধর্ষণের’ শিকার শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৩২ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
বাড়ির পাশে আত্মীয়ের বাড়ি হাতে মেহেদি লাগাতে গিয়ে ১২ বছরের এক শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জামিল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঈদের আগের দিন (রোববার) রাতে ভোলার সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হাতে মেহেদি লাগানোর জন্য যায় শিশুটি। এ সময় ওই প্রতিবেশীর ভাড়াটে আল আমিন (২৫) শিশুটিকে ‘কথা আছে’ বলে নিজের ঘরে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত ছিল তার বন্ধু মঞ্জু (৩০)। স্ত্রী ঘরে না থাকার সুযোগে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। শিশুটির গোঙানির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শেবাচিমে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ‘শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খবির মিঞা বলেন, ‘শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে মূল দুই আসামির সহযোগী জামাল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’