ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৬:১৬:৩০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গণধর্ষণের পর থানায় বিয়ে: ওসি প্রত্যাহার-এসআই বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৪ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় গৃহবধূকে দলবেঁধে গণধর্ষণ এবং থানায় তাদের একজনের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর থানার ওসি ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার ও এসআই একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এই মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মামলা না নিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে ধর্ষণে অভিযুক্তের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত সোমবার ওসি ওবাইদুল হকের কাছে ব্যাখ্যা চায় জেলা পুলিশ। একইসঙ্গে মামলা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

নির্যাতনের শিকার তিন সন্তানের জননী ওই নারী অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার রাতে সদর থানায় জোর করে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। আর যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে পুলিশ তাদের বিয়ে দিয়েছে।

ওই নারী জানান, পাবনা সদর উপজেলায় স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ওই নারী। তার অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ গত ২৯ আগস্ট তাকে অপহরণ করে নিয়ে সহযোগীসহ ধর্ষণ করে। দু’দিন পর তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয় এবং সেখানে আরও ৪-৫ জন তাকে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি ফিরে স্বজনদের বিষয়টি জানালে গত বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে গৃহবধূ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে। এরপর থানায় আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে রাসেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়।

এ ঘটনার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘন্টুর অফিসেই ওই নারীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

-জেডসি