ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ১:৪১:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অভিযানের পর চট্টগ্রামে পেঁয়াজের মূল্য সহনীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩২ এএম, ৪ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

দেশের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযানের পর মূল্য সহনীয় পর্যায়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

খাতুনগঞ্জ পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করার সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অভিযানের পর পেঁয়াজের মূল্য সহনশীল হয়েছে। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমেছে এবং সারাদেশে এর প্রভাব পড়েছে। মানভেদে আজ বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় এবং প্রায় সব আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পরিচালিত অভিযানের প্রভাব সারাদেশে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিংবা অন্য কোন উপায়ে যারা পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি করেছে তাদের কালো তালিকা হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পেঁয়াজের বাজারে অভিযানের আগে ও পরে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজের ব্যাপারে কারসাজিতে জড়িত কিছু আড়তদার-ব্যবসায়ীদের তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমেছে এবং সারাদেশে এর প্রভাব পড়েছে জানিয়ে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বিপণী কেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি ৬০ টাকা, ভারতের পেঁয়াজ ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দাম হাঁকা হলেও খুব একটা বিক্রি হয়নি।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, খাতুনগঞ্জের পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা পর্যায়ে এখনো তেমন প্রভাব পড়েনি।

চাক্তাই শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আবছার উদ্দিন জানান, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে একদিকে টেকনাফ স্থলবন্দরে শ্রমিক সংকট রয়েছে অন্যদিকে কাঠ ও স্টিল বডির ট্রলারে পেঁয়াজের বস্তা গাদাগাদি করে আনতে হয় বলে বস্তাপ্রতি ৫ থেকে ১০ কেজি নষ্ট হয়ে যায়। শুধু এলসি মূল্য দেখলে হবে না এর সঙ্গে অদৃশ্য নানা খরচও বিবেচনায় নিতে হবে।