ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫৫:২৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই শিশু তুহিন হত্যা : পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৮ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

সোমবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা, চাচি ও এক চাচাতো বোনকে থানায় আনে পুলিশ। এরপর টানা কয়েক ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামের অন্যদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আবদুল বাছিরের পরিবারের বিরোধ ও মামলা রয়েছে। এর জের ধরেই অন্যদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কারা, কখন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সব আমরা জানতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত বলব না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে থানায় আনা হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

সোমবার সকালে উপজেলার কেজাউরা গ্রামে শিশু তুহিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির পেটে দুটি ছুরি ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, তার দুই কান ও গোপনাঙ্গও কেটে নেওয়া হয়। পরে পাঁচ বছর বয়সী ওই শিশুর নিথর দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় কদম গাছের ডালে।

তুহিনের বাবা আবদুল বাছির একজন কৃষক। তার মায়ের নাম মনিরা বেগম।

শিশুটির আত্মীয় ইমরান আহমেদ জানান, আবদুল বাছিরের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। এর মধ্যে তুহিন দ্বিতীয়। বাড়ির দুটি কক্ষে দুই ভাই বাছির ও মছব্বির তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। গত রোববার রাতে খেয়ে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। রাত আড়াইটার দিকে বাছিরের এক ভাতিজি তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে যে তাদের ঘরের দরজা খোলা। এরপর সবাই জেগে উঠে দেখেন তুহিন নেই।

তখন প্রতিবেশীদেরও ডেকে তোলা হয়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় গিয়ে রক্ত দেখতে পান তারা। কিছুটা সামনে গিয়ে রাস্তার পাশে কদম গাছে তুহিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বলেও জানান ইমরান আহমেদ।