ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ১:১৫:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চিকিৎসকদের রোল মডেল ডা. জোহরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

চিকিৎসকদের রোল মডেল ডা. জোহরা

চিকিৎসকদের রোল মডেল ডা. জোহরা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসকদের জন্য আদর্শ ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং রোল মডেল হলো উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি মুসলিম নারী চিকিৎসাবিদ অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী। তিনি বিনামূল্যে এমনকি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও সেবা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমেও তিনি রোগীদের সেবা দিয়েছেন। শিক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন আদর্শ ও মহান শিক্ষক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নসহ সব ক্ষেত্রে নারীর জাগরণ ঘটেছে। এ বছর এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ছাত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, গুণী শিক্ষক, মহান চিকিৎসক, মহিয়সী নারী অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর জীবানাদর্শকে অনুসরণ করে দরদী মন নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। নিজেকে ভালো চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সেবাই পরম ধর্ম।

উপাচার্য তার বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী স্মরণে তার নামে মেডিক্যাল কলেজ বা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার দাবি জানান।  

অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী পরিষদের সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় সংস্কার) শেখ মজিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. লতিফা সামসুদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব ডা. সারোয়ার আলী, অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাজমুল করিম মানিক প্রমুখ।
   
অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজনান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২৩ বছর বয়সেই তিনি দিল্লীর লেডি হাডিং মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৩৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমবিবিএস পাস করেন। এজন্য পুরস্কার হিসেবে পান ভাইসরয় পদক। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বেশ কয়েক বছর হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসেবে চিকিৎসা সেবা দেন।