ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৬:৫৩:৫৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

২০৩০ সাল নাগাদ কুষ্ঠরোগ নির্মূল সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্ঠরোগ নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা জরুরি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কুষ্ঠ রোগকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করা, তাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতে সামাজিক সচেতনতার প্রয়োজন। যে সব এলাকায় কুষ্ঠরোগী বেশি, সেই সব এলাকায় বিশেষ নজর দিলে ২০৩০ সাল নাগাদ এই রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে।

দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুষ্ঠরোগীদের দেখে দূর-দূর ছেই ছেই করবেন না। তাদের আলাদা করে রাখবেন না। এটা অভিশাপ নয়, চিকিৎসা দিলে এরাও ভালো হয়, সুস্থ জীবনে ফিরে যায়। এটা আমি প্রমাণ করেছি। কুষ্ঠরোগীদের সেবা দেয়া, সহায়তা করা এবং সহানুভূতির সাথে তাদের দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।

কুষ্ঠরোগ শূন্য মাত্রায় নামিয়ে আনতে সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কুষ্ঠরোগসহ অন্যান্য রোগের হার কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কুষ্ঠরোগে আক্রান্তদের বিষয়ে রোগী ও স্বজনদের মানসিকতা পরিবর্তনেও কাজ চলছে।

কুষ্ঠরোগের ওষুধ উৎপাদন ও বিনামূল্যে সরবরাহের জন্য দেশের সব দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করলে কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা অনেক সহজ হবে ও মানুষের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত হবে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠরোগ মুক্ত করার বিষয়ে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

দেশের কুষ্ঠরোগীদের নিয়ে যেসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে তাদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী এই কাজে আরো অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুষ্ঠরোগীদের ঘরে বাইরে আসার সুযোগ করে দিতে এবং স্বাভাবিক জীবন দিতে আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আইন সংশোধনের মাধ্যমে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি বাইরের পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছি। এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছি।

স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ বেডের হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের গ্রামগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নিপপন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া।

স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কুষ্ঠরোগের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

-জেডসি