ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৭:৩৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাংলাদেশকে বিশেষ নজরে রাখছে ইইউ: তেরিংক

ইউ.এন.বি নিউজ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৬ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক। ছবি: ইউএনবি

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক। ছবি: ইউএনবি

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ রপ্তানিকারক রাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিশেষ নজরে রাখছে ইইউ।

তিনি বলেন, ঢাকা প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধন করছে। তবে, বাংলাদেশকে ইইউ থেকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রাখতে দেশের কারখানাগুলো আইএলও মানদণ্ড মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আরো অনেক কিছু করতে হবে।

বাংলাদেশের আরো উন্নতি করা দরকার উল্লেখ করে তেরিংক বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে যে বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে তা একটি ‘অন্যতম উপায়’। যা বাংলাদেশকে অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সহায়তার চেয়ে বেশি সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাঠানো সব পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রায় ৭০ শতাংশ বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়ে থাকে। যা মূলত তৈরি পোশাক খাত নির্ভর।’

তেরিংক রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইইউ অ্যান্ড দ্য কনটেম্পরারি গ্লোবাল সিনারিও: এ রিফ্লেকশন ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন ‘ডিস্টিংগুইশ স্পিকার্স লেকচার সিরিজ’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে।

কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান সংলাপের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।

তেরিংক বলেন, ‘আমি মনে করি এটা এ দেশের জন্য অনেক সহায়ক। পৃথিবীতে আর এমন কোনো সংগঠন নেই যারা বাংলাদেশকে এ ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে।’

তবে তিনি বলেন, ইইউ জোট তখনই পণ্য আমদানি করবে যখন দেখবে যে কোনো দেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মৌলিক আইনগত অধিকার মানছে।

তেরিংক আরো বলেন, বাংলাদেশ যখন থেকে এলডিসিভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ রপ্তানিকারক রাষ্ট্র হয়ে ওঠেছে, তখন থেকে এ বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনগণ এবং উৎপাদনকারীরা বাংলাদেশের দিকে বিশেষ নজর রাখছেন।

বাংলাদেশ প্রতি বছর ইইউতে বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করছে।

তিনি মনে করেন, ইইউ এটা নিশ্চিত করতে চায় যে এসব পণ্য মান বজায় রেখেই উৎপাদন করা হচ্ছে। ‘এজন্য আমাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আইএলও এবং আমাদের নিজস্ব মান এক্ষেত্রে মেনে চলা হচ্ছে।’

তেরিংক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটা সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের ফলে ইউরোপীয় গ্রাহকদের চোখ খুলে গেছে। দুর্ঘটনার পরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রশংসনীয় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ কারণেই আমরা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এবং টেকসই সংযোগ তৈরি করেছি।’