ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৫:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

তবে কি ক্লার্কসন বন্ড ছবির প্রথম নারী পরিচালক?

সালেহীন বাবু

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৪:১০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৪৭ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

এস জে ক্লার্কসন

এস জে ক্লার্কসন

তবে কি এস জে ক্লার্কসন-ই হচ্ছেন বন্ড ছবির প্রথম নারী পরিচালক? জেমস বন্ড। জিরো জিরো সেভেন। হলিউডের সর্বকালের সর্বসেরা রোমান্টিক, অ্যাকশন থ্রিলার ছবি। বন্ডের জনপ্রিয়তা এতটাই যে যুগে যুগে বন্ড হলিউডের রঙিন ফিতায় এসেছে নতুন কোন উদ্দীপনা নিয়ে।
 
 
এভাবেই চলছিল সব ঠিকঠাক। কিন্তু সম্প্রতি বন্ড ছবির পরিচালকের বিদায়ে নতুন বন্ড ছবির পরিচালক নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। অনেক যাচাই বাছাই শেষে পরিচালকের তালিকায় এসেছে তিনজনের নাম। তারা হলেন ইয়ান ডিমাঙ্গ, এস জে ক্লার্কসন ও বার্ট লাইটন। 
 
 
এদের মধ্যে ইয়ান ডিমাঙ্গের বন্ড ছবির  প্রযোজকদের সাথে সুসম্পর্ক থাকলেও তিনি বন্ড ছবির পরিচালক হতে রাজি হবেন কিনা সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে আরবার্ট লাইটন এখনো আমেরিকান অ্যানিমেলস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। জানুয়ারিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার এই ছবি। বাকী থাকলেন ক্লার্কসন।
 
 
পরিচালক হিসেবে বৃটিশ নাগরিক ক্লার্কসনের রয়েছে অন্য রকম এক গ্রহণযোগ্যতা। ব্যতিক্রম পছন্দ হিসেবে তিনি যদি বন্ড পরিচালক হতে পারেন, তবে তিনিই হবেন বন্ড ছবির প্রথম নারী পরিচালক।
 
 
তিনজন ডাকসেটে পরিচালকের মধ্যে ক্লার্কসনের অভিজ্ঞতার বিস্তার অনেকটাই প্রশস্ত। তিনি একাধারে একজন পরিচালক, প্রযোজক এবং লেখক। পরিচালক আবার দুই ক্ষেত্রের টিভি পর্দার, সিনে পর্দারও। তবে টিভি পর্দার জনপ্রিয় সিরিজগুলোর পরিচালক হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়তা তার। 
 
 
১৯৯৯ সালে ছোট পর্দায় টেলিসিরিজের পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ক্লার্কসনের। সে বছর পরিচালনা করেন টিভিসিরিজ ব্যাডগার্লস। ছোট পর্দার এ সিরিজটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। শুরু হল ছোট পর্দায় পরিচালক হিসেবে তার সফলতার যাত্রা।
 
 
২০০১ সালে আরও বড় কাজে হাত দেন। পরিচালনা করেন টেলিসিরিজ ডক্টরস। ডক্টরসে মোট ৩৭ টি পর্ব ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৪ মোট চার বছর সাফল্যের সাথে চলে এই সিরিজটি। এর মধ্যে ২০০২ সালে সাহস করে ইন দ্য ওয়েস্ট ব্যান্ড ছবিটি পরিচালনার সাথে সাথে প্রযোজনাও করেন।
 
 
এভাবে দেখতে দেখতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ২৭ টি টিভি সিরিজ পরিচালনা করেন। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল ক্যাজুয়্যাালিটি-চার পর্ব (২০০৩-০৫), ইস্ট ইন্ডার্স-আট পর্ব (২০০৪), ফুটবলারস ওয়াইফ-দুই পর্ব (২০০৫), লাইফ ইন মার্স-৬ পর্ব (২০০৬ -২০০৭), হিরোস (২০০৯ -২০১০), ডেক্সটার (২০০৯-২০১১), আগলি বিটি (২০১০), হাউস (২০১১), ওরেঞ্জ ইজ দ্যা নিউ ব্যাক (২০১৩), জেসিকা জোনস (২০১৫), দ্যা ডিফেন্ডার (২০১৭), সাকসেশন (২০১৮) অন্যতম।
 
 
বড় পর্দায় পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে ২০১০ সালে। তিনি টোস্ট ছবিটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ছবিটি ভালই জনপ্রিয়তা পায়। সম্প্রতি ক্লার্কসনের ধারাবাহিক সফলতায় যোগ হয়েছে আরও একটি বড় দায়িত্ব। স্টার টেক-ফোরের পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। জনপ্রিয় ছবি স্টার টেকেও পরিচালক হিসেবে প্রথমে নির্বাচিত হয়েছিল কয়েকজনের নাম। তবে সবাইকে ছাপিয়ে ক্লার্কসন স্টার টেকের পরিচালক নির্বাচিত হন। ছবির প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে রেকর্ড করেন ক্লার্কসন। যা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
 
 
জেমস বন্ড ছবির পরিচালক মনোনয়নে যদি স্টার টেকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে ইতিহাস সৃষ্টি করে ‘বন্ড’ ছবির নতুন নারী পরিচালক হতে যাচ্ছেন ক্লার্কসন। বাকীটা সময়ই বলে দেবে।