ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৯:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দুর্গাপুজা মানেই আমার আর পঞ্চমের হিট গান : আশা ভোঁসলে

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৪৭ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কিংবদন্তি শিল্পী আশার ভোঁশলে। তার স্বামী রাহুল দেব বর্মন। তাদের যুগলবন্দি দুর্গাপুজায় যে সুপারহিট গান তৈরি করেছিল রাহুল দেব বর্মন সেটাই যেন ছিল আশার ভোঁশলে দুর্গাপুজা। বহু বছর পরে আবার পুজার গান করলেন আশাজ্বি। কেন?

 

চোখে চোখে কথা বল/মুখে কিছু বলো না/মন নিয়ে খেলা কর/এ কি ছলনা...

 

তখন কোলকাতার পুজার প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে এই গান বাঙালির প্রাণকে প্রেমের রোমাঞ্চে ভরিয়ে দিয়েছিল।

 

সময় বদলালেও তার নড়চড় হয়নি। আজও পুজা প্যান্ডেলে কখনও তার ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’ তো কখনও ‘যাবো কি যাবো না’— আশা ভোঁশলে আর রাহুল দেববর্মণের দারুণ সব চিরকালের গান।

 


‘‘দুর্গাপুজা মানেই ছিল আমার কাছে কলকাতার পুজার গান। আমি আর পঞ্চম একের পর এক সুপারহিট গান দিয়েছি যা আজও শুনি পুজার প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাজে।’’ মুম্বই থেকে বললেন আশা ভোঁশলে।

 

এ বার বহু দিন পরে আবার কলকাতার জন্য, দুর্গাপুজার জন্য গান রেকর্ডিং করলেন এই গুণী শিল্পী।

 

‘‘পঞ্চম চলে যাওয়ার পর আর পুজার গান করতে ভাল লাগত না। কিন্তু এ বার গাইলাম।’’ যেন দুর্গাপুজাকে ঘিরে তার আর পঞ্চমের সোনালি দিনগুলোকে ছুঁয়ে দেখতে চাইলেন এই সুর সম্রাজ্ঞী।

 


আশা ভোঁশলের গানকে সকল মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার কাজটা বেশ কয়েক বছর ধরে যিনি করেন তিনি আশা অডিয়োর কর্ণধার মহুয়া লাহিড়ী। ‘‘আমি ভাগ্যবতী যে ওঁর মতো লেজেন্ডের সঙ্গ পেয়েছি। সময় কাটিয়েছি। ওঁকে এ বার একটা গান পাঠিয়েছিলাম। উনি সেটা শুনে তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে যান। আমরা মুম্বই গিয়ে রেকর্ড করি’’, উত্তেজিত মহুয়া।

 

 ‘এ বার পুজোয় ফিরে এলাম’, অমলিন মধুর কণ্ঠে মুখরিত হবে আশার গান। সঙ্গীত পরিচালক রাজ আর শিলাদিত্যর গান শুনেই তিনি রেকর্ডিং করতে রাজি হন। শিলাদিত্য প্রায় পঁচিশ বছর ধরে নব্বই দশকের বলিউড গায়ক-গায়িকাদের নিয়ে কাজ করে আসছেন। বললেন, ‘‘ওঁনার সঙ্গে কাজ করা যেন স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখা। আমরা তো আর ডি বর্মণ, কিশোরকুমার, আশাজীর পুজোর গান শুনে বড় হয়েছি। এটা একটা ট্রিবিউট।’’

 

আশাজী যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললেও এ বার গানের সাউন্ডস্কেপে পুরনো দিনের মেজাজ ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাঁর ভক্তদের। সে কথা বলতে গিয়ে বললেন, ‘‘ডিজিটাল যুগ। ইউটিউবে এখন গান রিলিজ হয়। এখন একটা গান করাই ভাল। তাই কলকাতার জন্য, দুর্গামায়ের জন্য, বাংলার জন্য এই গান। সাউন্ডস্কেপটা পুরনো, যাতে মানুষ পুরনো পুজোর গান মনে করতে পারবেন। আমরা কাজ করেছি। এ বার শ্রোতারা বলবেন।’’ স্বাভাবিক গলায় বললেন গায়িকা।

 

দুর্গাপুজা তার কাছে আসলে কী?

 

‘‘দুর্গাঠাকুর আমার কাছে শক্তির প্রতীক। শক্তির আরাধনাই এই পুজার মূল মন্ত্র। এখানে মহারাষ্ট্রে যেমন গণপতি ওখানে দুর্গা। আমি আর পঞ্চম কত বার কলকাতায় গেছি। ভাসান দেখে কী যে ভাল লাগত! ওখানে দুর্গোপুজোর জাঁকজমক আলাদা। কলকাতায় না থাকলে চেম্বুরের দুর্গাপুজো বা মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের পুজো দেখতে যেতাম। এখন এত ভিড় বেরোতে পারি না। তবে এখানে নবরাত্রি উদযাপন আর কলকাতায় দেবী আরাধনা অনেকটাই এক, আসলে তো শক্তির আরাধনা...’’ আবেগ আশাজীর কণ্ঠে।

 

সারা জীবন দুর্গাপুজায় গান গেয়ে বাঙালির জীবনের আবেশ, আবেগ, স্বপ্নে মাধুরী ভরে রেখেছেন তিনি।এই গান শুধু গান নয়। তার গানের পরিচয়কে এই পুজার আলোয় যেন ভরিয়ে রাখা।

 

৥ আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে