ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩০:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আমি অঙ্কে খুব কাঁচা ছিলাম : শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

তরুণদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার ছোট বেলায় ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবো। এসএসসি পরীক্ষা দিলাম, তখন দেখলাম অঙ্কে আমি কাঁচা। আর বন্ধুরা সবাই আর্টসে ছিল, আমিও আর্টসে ভর্তি হই। এরপর ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হবার। শিক্ষক মানে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বাচ্চাদের পড়াব।’

আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গত ২৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। 

‘লেট’স টক ইউথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, তরুণ পেশাজীবী, অ্যাথলেটস, খেলোয়াড়, সংস্কৃতিকর্মীসহ দেড়শোর মতো তরুণ অংশ নেন।

তরুণদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী, শোনেন তরুণদের স্বপ্নের কথাও। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী।

শরীরকে কীভাবে ঠিক রাখছেন? এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জীবনে রুটিন ঠিক থাকে না। তবে ফিট থাকতে আমি নামাজ পড়ি নিয়মিত। আর তেমন ব্যয়াম হয় না। আর গণভবনে থাকা বন্দী জীবনের মতন। তারপরও চেষ্টা করি সকালে উঠে একটু হাঁটতে। ছাদে হাঁটি। আর পরিমিতভাবে খেলে সুস্থ্য থাকা যায়। আর চিন্তা-ভাবনাকে স্বচ্ছ রাখা এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আমি সুস্থ্য থাকব এটা ভাবা।’

নানী বা দাদী হিসেবে আপনি কেমন? তরুণদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা আমার নাতিদের জিজ্ঞাসা করলে বলবে। আমরা লুডু খেলি, ক্যারাম খেলি, দাবা খেলি। তারা আমার হাতের রান্না পছন্দ করে। আর ছোট একটা আছে সে আবার খুব ডিমান্ড করে। বলে দেয়, তুমিই রান্না করবে। ববির ছোটটা। সে বলে, তুমিই রান্না করবে। সে কোলে চড়ে বসে আবার নির্দেশও দেয়। এটা দাও, ওটা দাও। বৃদ্ধ বয়সে নাতী-নাতনী নিয়ে থাকার থেকে আর কোনো সুখের সময় হয় না।’

রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাজনৈতিক একটি পরিবারে জন্ম। আর রাজনীতি আমাদের সাথে এমনভাবে জড়ানো ছিল যে রাজনীতি ঠিক কখন প্রবেশ করালাম তা সঠিকভাবে বলতে পারব না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। সেই সময় শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের আন্দোলন, তারপর আরও বিভিন্ন আন্দোলন। যখন আন্দোলন হতো, তখন স্কুল পালিয়ে চলে যেতাম সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বট তলায় মিটিং শোনার জন্য। আবার স্কুল থেকে আমাদের সংগঠন করতে হবে, ছাত্রলীগ করতে হবে বলা হলো। তাই স্কুল থেকে বিভিন্ন স্কুলে যেতাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন কলেজে ভর্তি হলাম। আমি ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে সেখানকার ছাত্রীরা খুবই উৎসাহীত। আবার আমাদের ছাত্রলীগের নেতারাও খুব উৎসাহীত। আমাকে প্রথমে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি করা হলো কলেজ ইউনিটের। আমরা বিভিন্ন কলেজে গিয়ে গিয়ে সংগঠন করতাম। তখন প্রত্যেক কলেজে বার্ষিক নির্বাচন হতো। তখন আমাকে সংগঠনের সেন্ট্রাল কমিটি থেকে জানানো হলো, “তোমাকে নির্বাচন করতে হবে।” তখন আমার মা আবার বাঁধা দিলেন। কেননা আমার বাবা তখন ছয় দফা দিয়েছেন। ছয় দফা দেওয়ার পর তিনি জেলে। আমাদের পার্টির তখন অধিকাংশ নেতাই বলতে গেলে জেল খানায় বন্দী। ওই অবস্থায় নির্বাচন করাটা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি যে কলেজে পড়তাম, সেটা ছিল সরকারি কলেজ। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কলেজে শেখ মুজিবের মেয়ে নির্বাচন করে জিতবে এটা কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছুতেই মানতে পারেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ শুধু না, তখনকার সরকারও। কারণ তখন গভর্নর ছিল মোনায়েম খান আর প্রেসিডেন্ট ছিল আইয়ুব খান। মিলিটারি ডিকটেটর আইয়ুব খান। তার বিরুদ্ধেই আমাদের সংগ্রাম ছিল। তাদের কথা ছিল, আমি যেন কিছুতেই নির্বাচনে জিততে না পারি। আবার আমার মা খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। মা বলেন, “যদি তুমি ইলেকশনে জিততে না পারো, তাহলে মানুষ মনে করবে ৬ দফার প্রতি সমর্থন নাই। আর সরকারের কথা ছিল, যদি আমি জিতে যাই। তাহলে প্রমাণ হবে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীদের ৬ দফার প্রতি সমর্থন রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে একটা বাধা। বাসায় আসলে মা বলত, এখনই যাও, উইথড্রো করো।”

তিনি বলেন, ‘কলেজে গেলে আমার বান্ধবী যারা ছিল বা সংগঠন থেকে বলত, 'না, উইথড্রো করা যাবে না। তুমি ত জিতবে তুমি কেন প্রার্থী থাকবে না?' এই এক টানাপোড়েনের মধ্যে। আমার মা খুব শক্ত ছিলেন। মা বললেন, “সবকিছু বন্ধ। টাকা-পয়সা সব বন্ধ। কিছু দেব না। তুমি ইলেকশন করতে পারবে না।” যাই হোক এরপর একটা পর্যায়ে ইলেকশন হলো। ইলেকশনে আমি জিতলামই না শুধু, আমার বিপক্ষে দুই প্রার্থী ছিল। তাদের দুইজনের ভোট যোগ করেও তার দ্বিগুণ ভোট আমি পেলাম। তখনকার ছবিও আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম তখন শুনলাম, গভর্নর ডেকে ভিসিকে বলছেন, গণি সাহেব ভিসি ছিলেন। তাকে বলছেন, শেখ মুজিবের মেয়ে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলো কীভাবে? তিনি জানান, হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে প্রতি বছর ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। আলাদাভাবে খোঁজ নেওয়ার সুযোগ কোথায়? 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আব্বা যখন মন্ত্রী ছিল তখন শিক্ষকরা খুব আদর করতেন। আবার আব্বা যখন জেলে গেল তখন বলত, 'ও, ওর বাবা ত জেলে।' তখন যত দোষ আমাদের ওপর। মানে, যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর। এমন চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য থেকে আমাদের যেতে হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমার বাবা কাজ করছে এটা জানতাম বলে এই চরাই উৎরাইটাকে আমরা বেশ সহজভাবে নিতে পেরেছিলাম। এটা আমার মায়ের শিক্ষা, আমার দাদা-দাদির শিক্ষা।’

কৈশরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “ছোটবেলার একটা মজার ঘটনা বলি, ধর্মঘট চলছে তখন। আমরা ঠিক করলাম, স্কুল ছুটি দিতে হবে। তা এমনিতে তো আর দিবে না। হেড স্যারের রুমের পাশেই স্কুলের ঘণ্টিটা। এখন ঘণ্টিটা আমরা কিভাবে বাজাবো!”

“আমরা একটা মেয়েকে দায়িত্ব দিলাম ঘণ্টিটা বাজাবে, আরো কয়েকজনকে দায়িত্ব দিলাম দাড়োয়ান কিছু বোঝার আগেই গেটটা খুলে দেবে। যখন ঘণ্টি বাজাতে শুরু করলাম ছোট বাচ্চারা তারা সব ছুটে পালাতে শুরু করলো। তখন মজার বিষয় হলো বাচ্চারা ছুটছে তাদের ধরার জন্য শিক্ষকেরাও ছুটছে। আর তখন আমরা বের হয়ে চলে এলাম। স্কুল থেকে সবাই দৌড় দিয়ে এক দৌড়ে চলে গেলাম সব। মিটিংয়ে গেলাম। তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি।”

প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের হেডমাস্টার আবার ভীষণ কড়া ছিলেন। কাজী ওমর আলী সাহেব, আমি উনাকে দেখলে ভয়ে দৌড়ে পালাতাম। কিন্তু খুব আদরও করতেন, খুব ভালো শিক্ষক ছিলেন। মানে গাধা পিটিয়ে মানুষ করা বলে না, উনিও তেমন আমাদের গাধা পিটিয়ে মানুষ করতেন।”

মায়ের কাছে আবদার মেটানোর স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “একদিন মা হঠাৎ করে বললেন মিটিংয়ে যেতে পারবে না। আর মা যদি একটা কথা বলতেন তা অমান্য করে কিছু করা আমাদের সাধ্যে ছিলো না। মা দরজাও লাগাতেন না, গেটও লাগাতেন না। কিছু করতেন না। শুধু বলতেন যেতে পারবে না। আর আমাদের সেই শিক্ষা ছিলো, মা বললে শুনতে হবে।”

’৭৫ পরবর্তী সংকটময় সময়ের তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “৭৫ পরবর্তী ৩-৪ বছর একটা অন্ধকার সময় ছিলো। বলা যায় একটা বাসায় বন্দি। সব জায়গায় যাবার সুযোগ ছিলো না। এমনকি নিজের পরিচয় দেবারও সুযোগ ছিলো না। একটা নামও দেওয়া ছিলো। ওই নামে আমাদের পরিচয়। নিজের পরিচয়টাও ছিলো না। তখন মনে হতো, জীবনের সবথেকে কম যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু নিয়েই চলব। সেখানে থেকে সংসারের প্রতিটি কাজ একে একে আমাদের শিখতে হলো, করতে হলো। করে করে শিখলাম।”

বাবা-মায়ের সংসারের আদুরের জীবনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসলে বাড়ির বড় মেয়ে ছিলাম। আলসেও ছিলাম খুব। এমনও অনেক দিন গেছে, না খেয়ে ঘুমিয়ে যেতাম। আব্বা এসে ঘুম ভাঙিয়ে ভাত মাখিয়ে মুখে তুলে দিতেন।”

“আমার খুব বদঅভ্যাস ছিলো বসে গল্পের বই পড়া আর গান শোনার। তখন মা এক কাপ চা বানিয়ে এনে দিতেন। নিজে খুব একটা বেশি কাজ করতাম না, আলসে ছিলাম এটা ঠিক। আর সেখান থেকে এমন একটা অবস্থায় পড়ে গেলাম, যে ঘর ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু নিজেদের করতে হতো, করতাম।”

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশকে ভালোবাসতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে কী পেলাম না পেলাম... দেশের জন্য কতটুকু দিতে পারলাম, মানুষের জন্য কতটা দিতে পারলাম তা ভাবতে হবে।”

তিনি বলেন, ‘পরশ্রীকাতরতা থেকে বের হয়ে এসে নিজেকে বলতে হবে, আমি পারি। আমি আমার মতো করেই ভালো করবো। কেউ দ্রুত উপরে উঠে গেলো দেখে আমাকে একটা অশুভ প্রতিযোগিতা করতে হবে, সেটা ঠিক নয়।”

“সেই সাথে দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হই তাহলে একটি মানুষও অবহেলিত থাকবে না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। আর তোমাদের দায়িত্ব নিজের মাঝে সেই ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি করে দেশের প্রতি দায়িত্ব, নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব এবং প্রতিবেশী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।”

“আর সবসময় একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে চললে দেশকে কিছু দিতে পারবে, নিজেও জীবনে কিছু করতে পারবে। হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। জীবনে অনেক ঝড়ঝাপ্টা আসবে। কিন্তু ইচ্ছাশক্তি প্রবল থাকলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা যায়।”

শেখ হাসিনা বলেন, “একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে যদি কেউ এগিয়ে যায়। তাহলে কোনো বাধাই বাধা বলে মনে হবে না। দেশকে এতদূর নিয়ে আসতে পেরেছি, তার প্রধান কারণ এই ইচ্ছাশক্তি। জাতির জনক বলে গেছেন, মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন। ত্যাগের মধ্যে দিয়েই অর্জন করা যায়। আর সৎ থাকতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি সৎ না থাকতাম, তাহলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করতে পারতাম না। পদ্মাসেতুর কাজও শুরু করতে পারতাম না। আমার এই একটি সিদ্ধান্ত বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদাকে অন্য এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আর আমি মনে করি বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে আমাদের তরুণ প্রজন্মই পারবে। আজকে যারা তরুণ শুধু তারা নয়, বরং ভবিষ্যতেও, যেমন আজকেও যে শিশুটি জন্মাবে সেও তো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। তবে তাদের জন্য একটি সুন্দর সমাজ গড়ে রেখে যেতে চাই।”

কবে দুর্নীতি মুক্ত হবে বাংলাদেশ? তরুণদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এটা আমার লক্ষ্য আছে। আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আভিযান চালিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এরপর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের আয় উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেখানে দুর্নীতি করার দরকার কী? অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসতে পারলে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব।”

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপনি কাজ করে গেছেন। এটি নিয়ে আপনার মধ্যে কোন শঙ্কা কাজ করেছে বা করছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি চেয়েছি দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। ...আমি বুঝেছিলাম, জঙ্গিবাদ থাকলে কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। বিরোধী দলে থাকি, আর সরকারি দলে; যেটা নীতির ব্যাপার সেটার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।  শুধু সরকারি দলে আসলেই করব, বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় করব না এমন নয়। আমার দেশকে আমি ভালোবাসি। আর সে কারণেই এ বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করেছি।”

তিনি বলেন, “আর আমাকে তো অনেকবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। কয়েকবার না অনেকবার। এমনকি সামনে থেকে গুলি করেও হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে আমাকে। যখন বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছি তখনও বাধা পেয়েছি। কিন্তু একটা বিষয়, এ দেশের মানুষ, যেখানে গিয়েছি সেখানে এত ভালোবাসা পেয়েছি। এই ভালোবাসা আমার শক্তি। সেটাই আমার প্রেরণা।”