হলুদ চাদরে মোড়া, মিষ্টি গন্ধে ভরা ‘নলাম’ গ্রাম
শারমিন সুলতানা
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ছবি : শারমিন সুলতানা
অতিরিক্ত কাজের চাপে মানুষ প্রায়শই চোখে সরিষার ফুল দেখে। কিন্তু যেটা মোটেও সুখকর নয়। তবে এই সরিষা ফুলের রূপ যদি কেউ চোখ মেলে উপভোগ করেন তাহলে এরচেয়ে সুখের অনুভূতি বোধহয় আর কিছুই হতে পারেনা।
আর এরকমই কিছু সুখ অনুভূতি লাভের এটাই উপযুক্ত সময়।হালকা শীতের আমেজে প্রকৃতিতে এখন এক ধরনের মুগ্ধতা। আর তাই দিগন্ত জোড়া হলুদ ফুলের মেলা দেখতে চাইলে যে কেউ এসময়টাতে চলে যেতে পারেন আশুলিয়ার ‘নলাম’ গ্রামে। এই জায়গাটা ঢাকার অদূরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্মৃতিসৌধ থেকে বেশ কাছে। কাজেই এই গ্রামে যেতে বাড়তি কোন পরিকল্পনার দরকার হবেনা। জাহাঙ্গীরনগরে অতিথি পাখি দেখার পাশাপাশি সরিষা ফুলের অপরূপ রূপ দর্শনটাও হয়ে যাবে।
আদিগন্ত মুগ্ধ করা হলুদ সমুদ্র স্নানের পাশাপাশি ,মিষ্টি গন্ধ আর গোধূলির রঙ মেখে বাড়ি ফেরার আনন্দটাই যে অন্যরকম সেটা না হয় একটু উপলব্ধি করলেন একদিনের জন্য
যাতায়াত : ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে মিরপুর টেকনিক্যাল বা গাবতলী এসে ধামরাই বা মানিকগঞ্জের যে কোন বাসে বাইশমাইল নামতে হবে।
বাইশমাইল ঢাকার দিক থেকে আসলে নবীনগরের এক স্টপেজ পরেই। এরপর সেখান থেকে অটো অথবা ব্যাটারিচালিত রিক্সাযোগে নলাম ব্রিজ পার হয়ে ওপারে নামতে হবে। অটো ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা আর রিক্সা ভাড়া পড়বে ৩০-৩৫ টাকা।
এরপর পায়ে হেঁটে অল্প দূরের ছোট্ট একটা নদী নৌকাতে পার হলেই সরিষা ফুলের অপরূপ রূপ দর্শন হয়ে যাবে। দূর থেকে দেখে মনে হবে হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে কেউ। এই অপরূপ রূপ দেখে, ছবি তুলে, প্রকৃতির মাঝে ইচ্ছে মত ঘুরে মৌমাছি আর প্রজাপতিদের খেলঅ দেখে অনেকটা সময় কেটে যাবে আপনার। ও একটি কথা তো বলাই হয়নি, নৌকায় ভাড়া জনপ্রতি ৫ টাকা মাত্র। আর নদীটির নাম বংশী নদী।
প্রিয় পাঠাক, সরিষা ফুল দেখতে গিয়ে বা ছবি তুলতে গিয়ে সরিষা ক্ষেতের যেন কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সব সময় সচেতন থাকবো কিন্তু।