ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৩:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করায় ৭ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৫ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়ায় মোহাম্মদ মনির নামে ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ডিত মনির টাঙ্গাইলের নাগরপুরের বাসিন্দা। জরিমানা না দিলে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে মনিরকে।

বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামশ জগলুল হোসেন বুধবার বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন বলে ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

জামিনে থাকা মনির রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠান বিচারক।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রতকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের বিবরণে বলা হয়, টাঈাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মনিরের ‘মনির টেলিকম’ নামের একটি দোকান ছিল। সেখানে থেকে তিনি বিভিন্ন মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইলে দিতেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

রায়ের বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার উত্তর রৌহান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মনমোহন সিং ও জিল্লুর রহমানের বিকৃতি করা ‘অশ্লীল ছবি’ বিভিন্নজনকে দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে।

রায়ের বিবরণে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারের পর আলমগীর বলেন যে, তিনি এই ছবিগুলো টাঈাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারের মনির টেলিকম থেকে নিয়েছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে সাঁটুরিয়া থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মনিরের সঙ্গে আলমগীর হোসেন, শীল সুব্রুত ও শ্রী প্রভাস চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ সাটারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মনির, আলমগীর ও শীল সুব্রুতের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় প্রভাস চন্দ্র সরকারকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

মামলার বিচারকালে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। মনির নিজের পক্ষে দুইজন সাফাই সাক্ষী আদালতে হাজির করেন।