ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১০:২০:৩৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শুধু ‘চা’ বিক্রি করে ২৩ দেশ ভ্রমণ!

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৮ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি : সংগ্রহ করা

ছবি : সংগ্রহ করা

ভ্রমণ করার নেশা থাকলে যে সব অসাধ্য সাধণ করা যায় তাই প্রমাণ করলেন ভারতের এক দম্পতি। বিদেশ ঘোরার স্বপ্ন থাকলে ঠিক কত টাকা রোজগার করতে হয়? সিঙ্গাপুর, আর্জেন্টিনা, পেরু, সুইৎজারল্যান্ড... শুধুমাত্র চা বিক্রি করে কি এ সব জায়গায় ঘুরে আসা সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব। আর সেটাই করে দেখালেন এই দম্পতি।

ভারতের কেরালার কোচিতে একটি ছোট চায়ের দোকান এই দম্পতির। ৫০ বছর ধরে এই দোকানেই চা বিক্রি করে আসছেন তারা দুজনে মিলে। আর সেই চা বিক্রির টাকাতেই ২৩টা দেশ ঘুরে ফেলেছেন তারা।

কোচির বাসিন্দা ৭০ বছরের বিজয়ন এবং তাঁর ৬৮ বছরের স্ত্রী মোহনা। ১৯৬৩ সাল থেকে চা বিক্রি করছেন বিজয়ন। প্রথমে কোচির রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করতেন তিনি। পরে কোচিতে চায়ের দোকান খোলেন। ছোটবেলা থেকেই দু’জনের ইচ্ছা ছিল দেশ ভ্রমণের। ছোট সেই দোকানই তাঁদের স্বপ্নের উড়ানে সাহায্য করে।

বিজয়ন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে সুইৎজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পেরু, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, আমেরিকা–সহ ২৩টা দেশ ঘোরা হয়ে গিয়েছে তাঁদের। এ বার তাঁদের তালিকায় রয়েছে সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ে। কিন্তু কী ভাবে বিদেশযাত্রার এই বিশাল খরচ জোগান তাঁরা?

বিজয়ন জানান, তাঁদের দোকানে রোজ ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাহক আসেন। তাঁরা দু’জনে মিলে দৈনিক ৩০০ টাকা করে জমিয়ে রাখেন শুধুমাত্র বেড়ানোর খাতে। এতে বছরে ১ লক্ষ টাকার মতো জমে। কয়েকটা বছর এ ভাবে টাকা জমান। বাকিটা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নেন। পরে ৩ বছর ধরে সেই ঋণ শোধ করেন। ঋণ শোধ হওয়ার পর ফের শুরু করেন পরবর্তী বিদেশ ভ্রমণের তোড়জোড়। এভাবেই ২৩টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন তাঁরা।

দৈনন্দিন খরচ কমানোর জন্য দোকান এবং বাড়ির সমস্ত কাজ তাঁরা নিজেরাই করে থাকেন। তাঁদের দোকানে একজনও কর্মচারী নেই। বাড়িতেও নেই কোনও পরিচারিকা।

কোচির ওই দম্পতি এখন সেলিব্রিটি। তাঁদের দোকান এক ডাকে চেনেন সকলে। বিদেশ সফর থেকে কী শিখলেন? বিজয়ন বলেন, ‘‘ঘুরলে আপনার মন পাল্টে যায়, সংস্কৃতিরও বদল ঘটে।’’

আর পাঁচজন দম্পতির মতো বিজয়ন ও মোহনারও দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে অনেক মতবিরোধ হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে একটাই মিল। দু’জনেই দেশ-বিদেশ ঘোরার স্বপ্ন নিয়ে বাঁচেন। সেই স্বপ্নের জোরেই এখন তাঁদের কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা