৩ বছরের সন্তানকে বাঁচাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার
রৌশন রহমান। বয়স মাত্র ৩ বছর। এই সময় হেসে-খেলে বেড়ানোর কথা থাকলেও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে সে। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। তাই ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রৌশনের বাবা-মা।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রান্নাথপাড়া গ্রামে ফেরদৌস-খাদিজা দাম্পতির একমাত্র সন্তান রৌশন। সন্তানের চিকিৎসায় সর্বস্ব ব্যয় করে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী বিজিবির ক্যাম্পের পাশে শ্বশুর আবদুস ছামাদের বাড়িতে অশ্রয় নিয়ে আছেন তারা।
রৌশন রহমানের বাবা ফেরদৌস রহমান একজন শ্রমিক, মা গৃহিণী। অভাব অনটনের মাঝে চলে তাদের সংসার। অকালে মৃত্যুর হাত থেকে সন্তানের জীবন বাঁচাতে করুণ আর্তনাত দরিদ্র বাবা ফেরদৌস রহমান ও মা খাদিজার। তাই ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। সমাজের বিত্তবানদের কাছে চাচ্ছেন সহযোগিতা।
ফেরদৌস রহমান জানান, তিনি মানুষের দোকানে কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চালান। ছেলের চিকিৎসা খরচ ব্যয় করা তার জন্য খুবই কঠিন। চিকিৎসকরা ছেলেকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করাটা তার জন্য আকাশ-কুসুম কল্পনামাত্র। যেটুকু জমি ছিল তাও বিক্রি করেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। শেষ সম্বলটুকু শেষ হওয়ায় বাধ্য হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি।
ফেরদৌস বলেন, যদি সমাজের বিত্তবানরা আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়তো ছেলেকে বাঁচাতে পারতাম।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এ কে এম কামরুজ্জামান জানান, রৌশনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যত দ্রুত সম্ভব ভারতে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তাহলে হয়তো তার জীবন বাঁচানো যাবে।