ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৯:৩০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের পূর্বাভাস এডিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, এবারের অর্থবছরে রপ্তানি ও সরকারি বিনিয়োগে ইতিবাচক ধারা অব্যহত থাকায় চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হতে পারে।

আজ বুধবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৯ আপডেট প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ এ তথ্য জানান।

এ ছাড়া জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার ক্ষেত্রে শিল্পের প্রবৃদ্ধি মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। তার ভাষায়, এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো তরান্বিত হবে। বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কম হলেও বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকবে।

মনমোহন প্রকাশ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে দ্রুতগামী। রেমিট্যান্সের প্রভাবে ব্যক্তি খাতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো খাতে সরকারের বাড়তি বিনিয়োগের কারণেই প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ধরে রাখতে আগামীতে শিল্পের ভিত্তি বাড়াতে হবে। বৈচিত্র্য আনতে হবে রফতানি পণ্যে। ব্যক্তি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে।

করের ভিত্তি বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তি খাতের চাহিদা মেটাতে মানবসম্পদেও উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের সংস্কারেও গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান মনমোহন প্রকাশ।

সংস্থাটি মনে করে, নির্বাচন-পরবর্তী স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা সারা বছরই এমন থাকবে। একই সঙ্গে উচ্চ রফতানি প্রবৃদ্ধির ধারা ও প্রবাসী আয়ের গতিও বেগবান হবে। চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ধরা হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে যানবাহন, শিক্ষা, আর্থিক খাত ও স্বাস্থ্য খাতের ধীরগতির কারণে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ততটা এগোবে না, যা থাকতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশের আশপাশে।

এডিবির মতে, রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াবে ১৪ শতাংশে। মূলত পোশাক খাতে রফতানির ওপর ভর করেই এ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হবে। তবে, গেল অর্থবছরে, দেশে বিপুল পরিমাণে পণ্য আমদানি হলেও ১০ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। মূলত খাদ্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কম থাকায় ২০১৯-২০ অর্থবছরেও দেশে আমদানির পরিমাণ কমবে।

এছাড়া টেকসই উন্নয়নের এ ধারায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও দেখছে উন্নয়ন সহযোগী এ সংস্থাটি। এর মধ্যে আছে- ব্যাংক খাতে বাড়তে থাকা খেলাপি ঋণ ও দুর্বল শাসনব্যবস্থা। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার বেশি। বিনিয়োগের তুলনায় লাভের হার কম। এখানে সুশাসনব্যবস্থাও দুর্বল। এর ফলে বাড়ছে মূলধন ঘাটতির প্রবণতা।

ব্যাংকিং খাতে পরিচালনায় ও আইনি কাঠামোয় বড় ধরনের অদক্ষতা রয়েছে বলেও মনে করে এডিবি। তাদের মতে, ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতায় নেয়া আগের অনেক উদ্যোগ সফল হয়নি। ব্যাংক আইন সংশোধন, ব্যাংকে বিশেষ নিরীক্ষা ও ঋণের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গাইডলাইনে কিছুটা সফলতা এসেছে। উন্নতি ধরে রাখতে আগামীতে বিদ্যমান ব্যাংক আইনের কঠোর প্রয়োগ চেয়েছে এডিবি। এ ছাড়া কর্পোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ঋণের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা যাচাই করা, সরকারি ব্যাংকে একীভূতকরণের মতো উদ্যোগ বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে এডিবির প্রতিবেদনে।


-জেডসি