এবার অ্যাসাঞ্জের সহযোগী গ্রেফতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:০৭ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার
ছবি: ইন্টারনেট
উইকিলিকস’র প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের এক সহযোগীকে ইকুয়েডর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাপানে পালানোর চেষ্টা করার সময়ই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া পল রোমো এই তথ্য জানান। স্থানীয় একটি রেডিওকে তিনি বলেন, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে অ্যাসাঞ্জের খুব ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেফতারের কথা জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বেশ কয়েকবার ইকুয়েডরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো প্যাটিনোর সঙ্গে বিদেশ সফর করেছিলেন। ২০১২ সালে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন।
তবে সূত্রের নাম উল্লেখ না করে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম ওলা বিনি বলে জানিয়েছে চ্যানেল টেলিয়ামাজোনাস। তিনি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলে জানায় গণমাধ্যমটি।
বৃহস্পতিবার লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে গ্রেফতার হন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুইডেনে যৌন নিপীড়নের মামলায় গ্রেফতার এড়াতে তিনি দীর্ঘ সাতবছর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ে ছিলেন। সম্প্রতি ইকুয়েডরের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লেনিন মেরেনো এক ঘোষণায় আসাঞ্জের শরণার্থীর মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপরই লন্ডন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে উইকিলিকসের টুইটার পোস্টে দাবি করে, ইকুয়েডরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছে লন্ডনে সেই দেশের দূতাবাস থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যে কোনও সময় বের করে দিতে পারে।
একটি যৌন নির্যাতনের মামলায় তাকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ। তিনি ২০১২ সালের জুন মাস থেকে লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন। সেই থেকে তিনি দূতাবাসের বাইরে কখনও আসেননি। কারণ দূতাবাস থেকে বাইরে আসলেই ব্রিটেনের পুলিশ তাকে আটক করে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করবে। আর অ্যাসাঞ্জ মনে করেন সুইডেন পাঠানোর পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হবে।
-জেডসি