ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২১:৫৪:৫১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাতিল দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দাওরায়ে হাদিসের (মাস্টার্স সমমান) বিগত কয়েকটি পরীক্ষায় ফরিদাবাদ মাদরাসাসহ দেশে কয়েকটি স্থানে প্রশ্ন ফাঁসের খবর পাওয়ায় কওমি মাদরাসার অধিভুক্ত দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

আজ সশনিবার এক জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয় আহমদ শফীর নিয়ন্ত্রণাধীন কওমি মাদরাসাগুলোর সরকারি বোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। সকালে জরুরি সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই বৈঠকে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মেশকাতের (ফজিলত) কেন্দ্রীয় পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত তাকমিল হাদিসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে পরীক্ষা বিরতি রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে বোর্ডের আলেমরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তা প্রতিরোধ করতে নতুন করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র পরিবহন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে নেয়া, বিশেষ তালার ব্যবস্থা করা, তালার চাবি সুনির্দিষ্ট এক থেকে দুজনের কাছে রাখার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন বোর্ডের কর্তা আলেমরা।

বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার সভাপতিত্বে রাজধানীর মতিঝিলের আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বোর্ডের একাধিক দায়িত্বশীল আলেম জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়ায় তাকমিল হাদিসের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

বৈঠকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শামসুদ্দিন জিয়া, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সাজিদুর রহমানসহ বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা শুরু হয়। আগামী ১৮ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। ছয়টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ২৬ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

 

-জেডসি