ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, এপ্রিল ২০২৪ ১০:২৭:৪৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নুসরাত হত্যার বিচার চেয়ে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেছেন, নুসরাত এক ব্যতিক্রমী নাম, কারণ নুসরাত এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। সে চলে গেছে তবে সে এক সহসী কণ্ঠস্বর।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, আমার মনে হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। যার জন্য আসলে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকাটা প্রয়োজন। কারণ প্রত্যেকটা ঘটনা যারা ঘটায় তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবান্বিত। এটি আমি মনে করি ধর্ষকের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে নেই। সে ধর্ষকই, সে নিপীড়নকারী ও সে নির্যাতনকারী। সেই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই আমাদের দেখা উচিত।

ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, যারা রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকেন তাদের কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার বিচার যেমন হতে তেমনি ঘটনায় যারা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন, এবং যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই এ ধরনের ঘটনার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসাছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকাপরা ৪-৫ জন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।

অস্বীকৃতি জানালে তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এবং নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার মামলার দ্বিতীয় নুর উদ্দিন ও তৃতীয় আসামি শামীম জবানবন্দি দিয়েছেন।

-জেডসি