ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৯:১২:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নুসরাত হত্যা: ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

সোমবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে এই আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এরই মধ্যে নুসরাত জাহান রাফির পরিবারকে সহযোগিতা না করার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়ার জন্য সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসির কক্ষে আরেক দফা হয়রানির শিকার হতে হয় নুসরাত জাহানকে। এসময় নিয়ম না মেনে ওসি জেরা করার সময় নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে। পরে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তিনি।

এতে বলা হয়, মৌখিক অভিযোগ নেয়ার সময় ২ জন পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও এসময় নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিল না।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, নুসরাত জাহানের জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াসহ আপত্তিকর প্রশ্ন করায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারাসহ অন্যান্য ধারায় অভিযোগ করা হয়।

এদিকে ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের সাথে ওসির সখ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ওসি নাটক ও পরবর্তীতে আগুন লাগিয়ে হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এরপর ১০ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী পৌর এলাকার ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। নুসরাত জাহান ওই মাদ্রাসা থেকেই আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন অধ্যক্ষ। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়েছে।

-জেডসি