ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ৯:১৮:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আমার গায়ে কাপড় নাই, ঘরের দরজা বন্ধ করে যা বলার বলেন : মিলা

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:২৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

প্রায় এক যুগ আগে গানের ভুবনে পা রাখেন পপশিল্পী মিলা। প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত। এরপর সংগীতাঙ্গনে একের পরে এক হিট গান দিয়ে শ্রোতাপ্রিয় হয়ে ওঠেন পপ গানের এই শিল্পী। সব কিছু ভালোভাবেই চলছিল, কিন্তু সংগীত জীবনের ছন্দপতন ঘটে বিয়ের পর। ২০১৭ সালের মে মাসে পারিবারিকভাবে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিলা ইসলাম। বিয়ের পর গানে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। জড়িয়ে যান সংসার জীবনের দ্বন্দ্ব-বিবাদে। নারী নির্যাতন-যৌতুকের অভিযোগে এনে স্বামী সানজারির বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। সবশেষে, সংসার জীবনের ইতি টানেন মিলা।

সম্প্রতি মিলা আবারও গানে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। অংশ নিচ্ছেন স্টেজ শোতেও। মিলা জানান, ভক্ত-শ্রোতাদের ভালোবাসার টানে আবারও গানে ফিরেছেন তিনি। সবকিছু ঝেড়ে-মুছে এখন থেকে তিনি গানে নিয়মিত হবেন।

এরইমধ্যে গত মঙ্গলবার মিলা তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজ থেকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দেন। যেখানে তিনি তুলে ধরেন অতীতের সংসার জীবনের অনেক ঘটনা। মিলা তার স্ট্যাটাসটি ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকেও শেয়ার করেন। আর ক্যাপশনে লিখেন- এরপরেও কেউ প্রতিবাদ করো না আমার জন্য। কোনও শিল্পীকে ট্যাগ করলাম না, জানি ওরা কী করবে পরে। তোমাদের প্রিয় মিলা।

দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন-এর পাঠকদের জন্য মিলার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘কত কত জীবিত "নুসরাত" আইন এর কাছে দাঁড়ান দিনের পর দিন... কিন্তু না মেরে ফেলা পর্যন্ত তাদের জন্য কোনও আওয়াজ উঠবে না। আইন দেশের সুন্দর। দুই বছর হয়ে যাচ্ছে, কোর্ট এ উল্টা জঘন্যভাবে চিৎকার দিয়ে অপবাদ দেয়া হয় আমাকে। বিচার তো দূর, দাখিল করা "খ" ধারার চার্জশিট আমাকে না বুঝতে দিয়ে "গ" ধারায় মামলা চার্জ গঠন করা হয়।

আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আমার জানা ছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কোনো রকমের হস্তক্ষেপে নেত্রীর কঠোর নিষেধ রয়েছে। তিনবার আদালতের আদেশ টানা অমান্য করলে জামিন বাতিল হবার কথা। পাঁচবার আমাকে কোর্ট নানান বুঝ দিয়ে পার্মানেন্ট জামিন দেয়।

আমি এখন বলতেও পারি নাই শেষের দিন আমার শাশুড়ি, আমার স্বামীর কথায় আমাকে কীভাবে বাথরুম থেকে দরজা ভেঙে বিনা কাপড় পরিহিত অবস্থায় জঘন্যভাবে টেনে আমার দেবর তার স্ত্রী এবং তার স্ত্রীর বাবা মায়ের সামনে এক ঘণ্টা গালিগালাজ করতে থাকে। আমার বাবা Viber-এ ভিডিও কলের মাধ্যমে পুরাটা ঘটনা দেখে। এক পর্যায়ে আমি হাতজোড় করে ভিক্ষা চাই এই বলে "আম্মু আমাকে মেয়ে বলে নিয়ে আসছিলেন, আমার গায়ে কাপড় নাই, দয়া করে আমাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে যা বলার বলেন। কিন্তু এই অপমান করেন না"। ভিডিও টা এখনও আমার কাছে...।

দেশের শিল্পী আমি?

আজকে এটাও বলে ফেললাম। এর চাইতে কাপড়পরা অবস্থায় আমার গায়ে আগুন দিয়ে দিত। আমি যাই বললাম তাতে পুরা মিডিয়া, শিল্পীরা, আমার ভক্ত রা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার কথা। কাপড় ছাড়া ঐ ছেলেকে রাস্তায় নামিয়ে জুতার বাড়ি দিয়ে মারার কথা, তাই না? আমার এই পোস্টটাই তো সবার শেয়ার করার কথা তাই না? কেউ করবে নাহ্‌, কেউ নাহ, কারণ আমি বেঁচে আছি। এই মিলা কেন এখনও প্রতিদিন চিৎকার করে কাঁদে উত্তর পাও তোমরা?

আমি দেশের জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী? এখনও, আজকেও বারবার “US-BANGLA” র এমডিকে কল দিয়েছি, কথা বলতে চেয়েছি। “কেন আমার ন্যায্য বিচার তারা তাদের ক্ষমতা দিয়ে আটকে রেখে ওই কুলাঙ্গার কে চাকরিতে রাখছেন? কীভাবে আমার উপর এত অন্যায় এর পর US-BANGLA cabin crewer সাথে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা ওই জঘন্য ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরও এই ছেলেকে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে US-BANGLA এমডি সবাইকে বলে বেড়ান যে “That in any cost এই মেয়েকে জিততে দিবো না।”

দেশের নাগরিক হিসেবে আজকে এই বলব, ওই ছেলের বিচার চাই আমি তাইলে... US-BANGLA আরও দুইজন পাইলট যারা আমাকে রাস্তায় রাস্তার অপদস্ত করে নোংরা কথা বলে, তাদের নাম রেজওয়ান আহমেদ খান (rezwan ahmed khan) ও শামস রেজওয়ান (shams rezwan)। তারা শুধু আমাকে না বরং আমার বাবাকে নিয়েও প্রকাশ্যে গালি দেয়। উল্টা দিকে এরা আমাকে ICT, ACT-এর হুমকি দিতে থাকে। আমি US-BANGLA’র এই তিনজনের বিচার চাই। আমি আমার দেশ ও দেশের সরকার এর কাছে আমার ভেঙে দেয়া মেরুদণ্ড ফিরে চাই। ফাইলের উপর ফাইল করা সকল প্রমাণ আমার কাছে জমা। কিন্তু বাকিদের বিচার কই চাইব?

এদিকে ওই ছেলে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য বিভিন্ন বিদেশি এয়ার লাইনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমার আবেদন আমার নেত্রীর কাছে, আমার অপরাধী যাতে পালাতে না পারে। আমার মামলাটি দয়া করে আবারও সঠিক ধারায় চার্জ গঠন করার আর্জি জানাই। গত ১০ দিন আগে আমি ওই ছেলেকে হাতেনাতে পতিতা নিয়ে ধরলে ওই ছেলে আমাকে “গুলি করে হত্যা করে সেলফ ডিফেন্স বলে প্রমাণ করে দিবে” বলে আমাকে আর আমার বাবাকে sms করে। গুলি খাওয়ার আগে বিচার চাই। বিচার চাই, আমি বিচার চাই।

ইতি-

একজন জীবিত নুসরাত