ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৫:৫২:৫৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রমজানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ১০ মে ২০১৯ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বছর ঘুরে চলে এসেছে মুসলিমদের সবচেয়ে পবিত্র মাস রমজান। সারাদিন সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবারের রুটিন পরিবর্তনের পাশাপাশি ঘুমের সময়েরও পরিবর্তন ঘটে। এমন অবস্থায় সেহরি ও ইফতারে খাবার-দাবার এবং স্বাস্থ্যের বিষয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হয়।

সারাদিন রোজা থাকার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইফতারে ছোলা, মুড়ি, জিলাপি, খেজুরসহ নানা পদের খাবার থাকে।  সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে সামনে যা থাকে তাই খেতে শুরু করে সবাই। এসময় অনেকেই ভুলতে বসে যে কোনটি মানসম্মত ও কোনটি ক্ষতিকর। তবে এভাবে অনিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চলুন দেখে নেয়া যাক রমজানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কোনগুলো-

সেহরিতে কেমন খাবার খাবেন?

সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে তাই সেহরিতে খুব বেশি খেতে হবে এমনটা ভেবে পেট পুরে খাবার খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বরং ক্ষুধা নিবারণের জন্য যতটুকু আপনার খাবার দরকার ততটুকুই খান। মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেলে তা উপকারের পরিবর্তে অপকারই বেশি করবে। এছাড়া সারাদিন অস্বস্থিতে ভুগবেন।

স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ধরণের খাবারই সেহরিতে খাওয়া যায়, তবে খেয়াল রাখতে হবে- খাবারটা যেন সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। ভাত বাঙালির মুখ্য খাবার। তাই সেহরিতে অবশ্যই সাদা ভাত রাখবেন। তবে ভাতের সাথে রাখতে হবে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাছ, মাংস ও ডিম। খরচ কমাতে চাইলে ভাতের সাথে শুধু ডিম ও ডাল। ডাল উদ্ভিজ প্রোটিন বলে এতে ক্ষতিকর চর্বি নেই। সেহরির খাবার তালিকায় যেকোনো একটি সবজি থাকা বাঞ্ছনীয়। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, পেঁপে, করলা, আলু, টমেটো-এর কয়েকটি বা যেকোনো একটি রাখলে চলবে। পাকস্থলীতে উত্তেজনা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে- এমন কোনো খাবার খাওয়া উচিত নয়।

যাদের ভাত খাওয়ার খুব একটা আগ্রহ নেই তারা রুটি-ডাল খেতে পারেন। আঁশযুক্ত খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিন। কারণ এই জাতীয় খাবার হজম হতে দেরি হয়। তাই ক্ষুধা লাগে দেরিতে। দুধে আপনার কোন সমস্যা না থাকলে হালকা গরম এক গ্লাস দুধ খেয়ে ফেলতে পারেন।

ইফতারে যা খাবেন

বেশির ভাগ লোককে দেখা যায় ইফতারের সময় হুলস্থূল ধরনের খাবার-দাবার খেতে। তারা মনে করেন, সারাদিন না খাওয়ার অভাবটুকু ইফতারে পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। ইফতার পর্বে উত্তেজক খাবার একেবারেই বর্জন করতে হবে। ইফতার শুরু করবেন শরবত দিয়ে। তবে শরবতে কৃত্রিম রঙ মেশাবেন না। এ রঙে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকতে পারে। বাজারে অনেক কৃত্রিম রঙ মেশানো শরবত পাওয়া যায়, সেসব অবশ্যই পরিহার করবেন।

ইফতারে ফলের রস বেশ উপকারী। এসময় যেকোনো একটি ফল খাবেন, ফলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে, যা আপনাকে স্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে। ছোলা ও মুড়ি খেতে পারেন। দই, চিঁড়া ও কলা খেলে উপকার পাবেন। তবে তৈলাক্ত বিভিন্ন খাবার যতটা পারুন এড়িয়ে চলুন। তেলেভাজা এসব খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

এছাড়া ইফতারে খেজুর ও বিভিন্ন ফল রাখা উচিত। সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর সেই ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। সেহরি এবং ইফতারের সময় প্রচুর পানি পান করবেন। পানি আপনার শরীরের কোষগুলোকে সজীব রাখবে।

রোজা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রোজা ছাড়া বছরের বাকি সময়ে বেশিরভাগ লোকই একেবারে সংযত জীবন যাপন করেন না। রোজার কারণে তারা একধরনের শৃঙ্খলাবোধ চলে আসে। সময়মতো আহার, বিশ্রাম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

-জেডসি