রেকর্ড ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত ভারত
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ৩ জুন ২০১৯ সোমবার
ছবি: ইন্টারনেট
রেকর্ড তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনজীবন। দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে। এই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে হিটস্টোক ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রেডএলার্ট জারি করা হয়েছে দিল্লিতে। খবর এএফপি।
রবিবার দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করে রাজস্থানে। রাজস্থানের চুরুতে এদিন ৫০.৬ (১২৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। পুরো রাজস্থানেই ভয়াবহ দাবদাহ বিরাজ করছে। কয়েকটি শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। ভারতের অন্যান্য শহরেও এদিন স্বাভাবিকের চেয়ে তীব্র গরম ছিল।
২০১৬ সালের মে মাসে রাজস্থানের ফালোদিতে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৩.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হারিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে এই প্রচন্ড তাপ প্রায় এক সপ্তাহ বিরাজ করতে পারে।
রাজধানী নয়াদিল্লীতে দাবদাহের কারণে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এখানে তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। স্থানীয়দেরকে দিনের উষ্ণতম সময়ে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশেও দাবদাহ দেখা দিয়েছে। গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে যেখানে ধনীরা চলে আসেন সেই উনাতে তাপমাত্রা ৪৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
গান্ধীনগরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য স্থানেও ছিল তীব্র গরম। যোধপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫.৬ ডিগ্রি, এবং রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে ছিল ৪৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন রাজস্থান এবং মধ্য প্রদেশে প্রায় একই তাপমাত্রা বিরাজ করবে। পাঞ্জাব, ভিদার্ভা, পূর্ব উত্তর প্রদেশের অংশ বিশেষ, চন্ডিগড় এবং দিল্লিসহ অন্যান্য শহরেও তীব্র গরম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া হিমাচল প্রদেশের কিছু এলাকা, জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু কিছু এলাকায় তীব্র গরম অনুভ‚ত হবে।
খাল-বিল ও নদী নালা শুকিয়ে যাওয়ায় চেন্নাইসহ প্রধান শহরগুলিতে পানির সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তৃষ্ণার্ত গবাদী পশু খাওয়ানোর ও ফসলে দেয়ার মতো পানি সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে কৃষকদের জন্য। সবচেয়ে বেশী খরা কবলিত জেলা বিডের বাসিন্দা রাজেস চন্দ্রকান্ত জানান, ‘নদী ও লেক শুকিয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে দূরের গ্রাম থেকে ট্যাংকারে করে পানি এনে জমিয়ে রাখতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘কৃষকরা তাদের গৃহপালিত পশুগুলোর জন্য তিনদিন পর পর পানি পান।’
ভারতীয় উপমহাদেশে গত এক দশকে বৃষ্টিপাতের ধরণ ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটেছে, যার ফলে খরা, বন্যা এবং আকস্মিক ঝড়ের মতো ক্রমাগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে।
-জেডসি