ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪১:১৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আজকের শিশু আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দিবে: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ১২ জুন ২০১৯ বুধবার

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, আজকের শিশু আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। তারা দেশশ্রেম, বাংলা ভাষা, মুক্তিচিন্তা ও মানবিক নৈতিক মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালী সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে।

আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০১৯’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিশুদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দেবেন না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে।’

রাষ্ট্রপ্রধান শুধুমাত্র জিপিএ-৫ এর পিছনে না ছুটে শিশুদের জন্য প্রকৃতি থেকে শিক্ষা লাভের এবং প্রয়োজনীয় মানবিক মূল্যবোধের সাথে বেড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টির জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শিশুদের সকল ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তাহলেই শিশুরা দেশ ও জাতির জন্য মূল্যবান সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।’

ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই শিশুদের মাঝে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ ঘটানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘তোমাদের অবশ্যই দেশকে ভালবাসতে শিখতে হবে। কখনো অন্যায় ও অসত্যের সাথে আপোষ করবে না।’

আব্দুল হামিদ আরো বলেন, ‘যদি তুমি সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চল, তবে জীবনে সফল হতে পারবে।’

রাষ্ট্রপতি হামিদ ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি ও ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে শিশুদের কাছে দেশের স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে জাতীয় শিশু আইন -১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা শিশুদের অনেক ভালবাসতেন। তিনি তাদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘পাঠ্যসূচির মাধ্যমে শিশুদের মাঝে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করুন, যাতে করে তারা কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামী থেকে মুক্ত থাকতে পারে।’

এর আগে রাষ্ট্রপতি ২৩৭ জন বিজয়ীর ৩০ জনের মাঝে পুরস্কার ও পদক বিতরণ করেন।

১৯ জানুয়ারি থেকে মোট ৩ লাখ ২৭ হাজার ১২৭ জন প্রতিযোগী ছবি আঁকা, নৃত্য, আবৃতি, অভিনয় ও গানসহ ৩০টি বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এ সময় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজির লিটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি একটি মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের সঙ্গে ছবি তোলেন।