ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ৫:০৭:০৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অরিত্রীর আত্মহত্যা: দুই শিক্ষিকার বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় করা প্ররোচণার মামলায় দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলাটিতে আসামিদের বিচার কার্যক্রম শুরু হলো। আগামী ২৭ অক্টোবর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছে আদালত।

বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখার প্রধান জিন্নাত আক্তার।

আসামিদের পক্ষে দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল অব্যাহতির আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করেন।

আসামিরা জামিনে রয়েছেন। তারা গত ১৪ জানুয়ারি সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

এছাড়া মামলার অপর আসামি শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যিনি গত ৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে চার দিন কারাভোগের পর জামিন পান।

এর আগে গত ২৫ মার্চ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর অরিত্রী (১৪) মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেন। পরে হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী অরিত্রীর কাছ থেকে নিয়ে নেয় এবং পরদিন তার বাবা-মাকে স্কুলে আসতে বলেন।

সে অনুযায়ী অরিত্রী পরদিন সকাল ১১টার দিকে স্কুলে এসে মা-বাবাকে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কিছু সময় বসে থাকার পর তিনি অরিত্রী ও তার মা-বাবাকে আসামি জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েকে টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। তখন মা-বাবা অরিত্রীকে নিয়ে আসামি নাজনীন ফেরদৌসের রুমে যান। সেখানে অরিত্রী আসামি নাজনীন ফেরদৌসের পা ধরে ক্ষমা চান। সঙ্গে তার মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্ষমা চান।

কিন্তু নাজনীন ফেরদৌস তাদের কথায় কান না দিয়ে তিনিও টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। এতে অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে নাজনীনের কথা কাটাকাটি হওয়ার সময় অরিত্রী বাসায় চলে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার এবং অশিক্ষিত সুলভ আচরণই অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

অরিত্রী অধিকারী (১৪) নাবালক (শিশু) হওয়ায় মামলার চার্জশিটটি দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই ধারায় কোনো শিশুকে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।

-জেডসি