ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০১:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মিন্নি পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৪৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনায় স্বামী রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপুরে মিন্নিকে আদালতে তুলে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

আলোচিত এই মামলায় মঙ্গলবার রাতে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এর আগে দিনভর তাকে পুলিশ লাইনসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে ও অন্যান্য সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তারের দাবিতে গত শনিবার রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রিফাতের বাবা। তিনি অভিযোগ করেন, এ হত্যার সঙ্গে মিন্নি জড়িত।

পরদিন সকালে ‘বরগুনার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনেও মিন্নির গ্রেপ্তার দাবি করা হয়। পরে দুপুরে মিন্নি তার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, যারা বরগুনায় ‘বন্ড ০০৭’ নামে সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি করিয়েছিলেন, তারা খুবই ক্ষমতাবান এবং অর্থবিত্তশালী। নেপথ্যের এই ক্ষমতাবানেরা বিচারের আওতা থেকে দূরে থাকা ও এই হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার শ্বশুরকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকরি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় মিন্নিও পাশেই ছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রথম দিকে মিন্নি অনেকটা ভাবলেশহীন ছিলেন। পরে অবশ্য রিফাতকে যখন কোপানো শুরু করে সন্ত্রাসীরা তখন তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে মিন্নির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

 হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলা দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীসহ বাকি তিন আসামি এখনো রিমান্ডে আছেন।

-জেডসি