ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৬:৫৬:১৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

অটিজম নিয়ে জনমনে যতো প্রশ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২২ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

সারা বিশ্বে ক্রমাগত হারে বেড়ে চলেছে অটিজম। কিন্তু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) নামের এই রোগটি নিয়ে জনমনে সচেতনতা বড্ড অভাব। আজ (মঙ্গলবার) বিশ্ব অটিজম দিবসের প্রাক্কালে এসে এই রোগ নিয়ে যে আমাদের কতো অবহেলা সে কথাই যেন বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুর মানসিক বিকাশ কিংবা সামাজিক আচরণে পরিবর্তনটা স্বাভাবিক না থাকাটাই মূলত: অটিজম। স্নায়ুবিক নানা কারণে এ অসুখ হয়। অথচ সচেতনতার অভাবে এই নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার চিনতেই পারেন না শিশুদের বাবা-মা’রা। তাই এই রোগ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে এনিয়ে আরও বেশি প্রচার-প্রচারণা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুরুর ব্যাখ্যাতে এটা মোটামুটি পরিষ্কার যে, অটিজম একটি জটিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার। বর্তমানে এটাকে বিরল রোগ বলা যাবেনা। কেননা, পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ৫৮ জন শিশুর মাঝে একজন অটিজম নিয়েই জন্মায়। এক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে চার গুণ বেশি এ রোগের শিকার ছেলেরা।   

আটিজমের শিকার শিশুদের সাথে সুস্থ শিশুদের তফাৎটা মূলত মানসিক বিকাশে। এই রোগের শিশুদের বাচনভঙ্গি, কথার ধরন, সামাজিক মেলামেশা ও স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তৈরি হয় অন্তরায়। অথচ বৌদ্ধিক ও অন্যান্য গুণাগুণের বিচারে কোনও ফারাক থাকে না আর পাঁচ জনের সঙ্গে।  

এই রোগের উপসর্গ হিসেবে বলা যেতে পারে- অতি-ঘনিষ্ঠজন ছাড়া মেলামেশা না করার প্রবণতা, বয়সের তুলনায় অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখা, চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না-পারা, একই কথা বা কাজ বার বার বলা বা করা, কারও শরীরী ভাষা, ইশারা, ইঙ্গিত, মুখের ভঙ্গির মানে না-বোঝা, একঘেয়ে রুটিনে আসক্তি, রগচটা ব্যবহার, পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনেই রেগে যাওয়া, বহির্জগৎ সম্পর্কে উদাসীনতাসহ আরো কিছু অস্বাভাবিক বিষয়।   

কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই অটিজম থেকে কি কখনোই মুক্তি নেই? চিকিৎসকরা বলছেন, অবশ্যই রয়েছে। যদি মুক্তি নাই বা থাকতো তবে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, মোৎজার্ট, বিল গেটসের মতো মানুষ কিভাবে অটিজমের বাঁধা টপকালেন। তবে এরজন্য প্রয়োজন চিকিৎসা এবং অভিবাকদের সচেতনতা।

-জেডসি