ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৮:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

আরও এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের সুপারিশ কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তারা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যক্রম ফলাফল পাওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহ লকডাউন প্রয়োজন রয়েছে। যদিও এ নিয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে আজ সোমবারই সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে।

রোববার রাতে কমিটির ৩১তম অনলাইন সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। পরে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পরে সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরি রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়।

করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে গত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত আটদিনের লকডাউন চলছে সারা দেশে। দুদিন পর এই চলমান লকডাউনের সময় শেষ হওয়ার কথা।

জাতীয় কমিটি জানায়, তারা এর আগে সরকারকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ঘোষণার সুপারিশ করেছিল। সরকার এর মধ্যে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না বলে মন্তব্য করেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টিও কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বাড়তে থাকা, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে। পাশাপাশি সভা সামাজিক সমতার বিষয়েও নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে, খোলা রাখা জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার জন্য কমিটি অনুরোধ করেছে। তা না হলে বিরূপ পরিস্থিতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

উদাহরণ হিসেবে চলমান লকডাউন এ চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটির জন্য চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্খিত ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। কাঁচাবাজার খোলা জায়গায় বসানোর প্রস্তাব আবারও দেওয়া হয়।

ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় জাতীয় কমিটি। রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় অতি দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়ার ওপরও জোর দেওয়া হয়।

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টেস্ট, বেসরকারির মূল্য নির্ধারণ:

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি মনে করে, করোনা রোগী দ্রুত শনাক্ত করা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ল্যাবরেটরি সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। সাম্প্রতিককালে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে এসেছে। নমুনা সংগ্রহ সহজ ও রোগীদের হাতের নাগালের মধ্যে আনার জন্য শহর অঞ্চলে প্রতি ওয়ার্ডে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা প্রয়োজন। রিপোর্ট দ্রুত প্রেরণ করার জন্য নমুনা সংগ্রহের বুথে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কমিটি নমুনা পরীক্ষা সহজলভ্য করার জন্য ইতোমধ্যে সরকারি নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার পরামর্শ দিয়েছে। পিসিআর টেস্ট কিটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বেসরকারি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মূল্য পুনর্নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে করে যেমন পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে, তেমনিভাবে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসবে ও সাশ্রয়ীমূল্যে পরীক্ষা করা যাবে। সরকারি ল্যাবরেটরিতে চাপ কিছুটা কমবে। এতে করে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত দিয়ে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে। যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভবতী মায়েদের সেবার বিষয়ে সুপারিশ:

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি/বেসরকারি সব হাসপাতাল, ক্লিনিকে গর্ভবতী করোনা/নন করোনা মায়েদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিন্তে করার জন্য অনুরোধ করে কমিটি। তারা জানায়, এর বিকল্প কিছু করা উচিত হবে না। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন ডিএনসিসি হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের একটা কর্ণার এ বিশেষায়িত (আইসিইউ) ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রতিটি হাসপাতাল তার নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী চেইন অব রেফারেন্স সিস্টেম মেনে চলবেন।

কমিটি জানায়, সব মৃদু করোনা রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সেই সাথে কোয়ালিটি সেবা নিশ্চিত করার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন।

সভার শুরুতে করোনায় যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরার কামনা করা হয়। তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়।

-জেডসি