ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪০:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক পরলোকে জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ন

আ.লীগ কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি

বাসস | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ৭ মে ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসস্থান গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির কালচার শুরু করে। আওয়ামী লীগ কখনও ভোটে পেছনে ছিল না। পারসেন্টেজ বেশি ছিল। নানান ষড়যন্ত্র করে ভোটে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। নানা ষড়যন্ত্রের মাঝেও আমরা এগিয়েছি।

প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মহল আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত করতে চায়। আমাদের অপরাধটা কী? কোথায় ব্যর্থ হয়েছি?

তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেক সবাই মানুষ হত্যা করেছে। জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। জিয়া এরশাদ খালেদার সময় ক্ষমতা ছিল ক্যান্টনমেন্টে। পাকিস্তানি স্টাইলে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ চালু করেছিল।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা পরাধীনদের অুসরণ করব না। নিজস্বভাবে দেশের উন্নয়ন করব,মাথা উঁচু করে চলব।

বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? দুজনই সাজাপ্রাপ্ত। এদের সঙ্গে ডান, বাম, অতিবাম এসে যুক্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রক্ষমতায় বিদেশি শক্তি বসাতে পারবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে অতিজ্ঞানী হলেও তারা কম বোঝে। তাকিয়ে থাকে কখন তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে, বসে থাকে কখন সিগন্যাল আসবে। বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে। বিদেশ থেকে যেন ক্ষমতায় বসাবে। এখনকার বাংলাদেশ সেটা নয়।

এবার ইদে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারায় এবং ফিরে আসায় যোগাযোগমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

গ্রামে ঈদ করাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ গ্রামের বাড়ে গিয়ে ঈদ করছে, উৎসব করেছে। গ্রামে এতে অর্থ সরবরাহ বাড়ে। বিশ্বে অনেক দেশে এটা কমে গেছে। গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হচ্ছে। তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছি। গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী করছি।

একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। ঈদের আগে ৩৩ হাজার ঘর দিয়েছি। জুলাই মাসে আরও ৩৪ হাজার দেব। বাকি থাকবে ৪৫ হাজার। তাও দিয়ে দিলে দেশে ভূমিহীন কেউ থাকবে না। আমরা চাই বাংলাদেশে একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

টানা তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে ধন্যবাদ। বার বার আমাদের ভোট দিয়েছে। টানা তিন বার ক্ষমতায় রেখেছে। অনেক উন্নয়ন হয়েছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।

দলের সম্মেলন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিয়মিত সম্মেলন করি। সময় কাছিয়ে এসেছে। এর আগে কিছু কাজ আমরা করি। ঘোষণাপত্রের অনেক কিছু বাস্তবায়ন করেছি। উন্নয়নের ধারা আরও অব্যাহত রাখতে হবে। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাদের (বিএনপি-জামাতের) কুকর্ম মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা অতিমারীর কারণে আড়াই বছর পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে, কার্যনির্বাহী সংসদের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, জাতীয় সম্মেলন ঘিরে দলের এ সভাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি, জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ও সমসাময়িক জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনাসহ সাংগঠনিক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, করোনা কাটিয়ে বড় পরিসরে এই প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হচ্ছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ নানা কারণে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে দলের আসন্ন সম্মেলন কবে হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। জেলা-উপজেলা শাখাগুলোর সম্মেলন হয়েছে কি না, সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে এ রিপোর্ট নেবেন দলীয় সভাপতি। এ বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনাও দেবেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য মাঠের প্রস্তুতি এবং যেসব জেলায় দলীয় কোন্দল বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানেও কথা বলবেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলা শাখার নেতাদের অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।