ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ৫:৫৮:৫৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

উন্নয়ন না দেখতে পেলে চোখের ডাক্তার দেখান: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২২ শনিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিরোধীদলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের উন্নয়ন অনেকের চোখে পড়ে না। আর কেউ যদি চোখ থাকতে অন্ধ হয়, তাহলে চোখের ডাক্তার দেখাতে পারে। আমরা খুব ভালো আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। আমার মনে হয়, তাহলে তারা দেখতে পাবে।’

আজ শনিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর প্রথম টিউবের (দক্ষিণ পার্শ্ব) পূর্তকাজ সমাপ্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের অপজিশন বোধ হয় চোখ থাকতে অন্ধ। তারা দেখেও না দেখার ভান করে। নিজেরা কিছু করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কিছু করতে পারবে না। দেশকে কিছু দিতেও পারবে না। হ্যাঁ, ক্ষমতায় বসে নিজেরা খেতে পারবে। অর্থ চোরাচালান করতে পারবে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানি করতে পারবে। অর্থ-অস্ত্র চোরাচালানি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ; এগুলো পারবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আমরা বাণিজ্য রাজধানী বলে ডাকতাম। সেই চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেই। দুর্ভাগ্যের বিষয় পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতাসীন তারা চট্টগ্রামে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস ঢাকায় নিয়ে চলে আসে। চট্টগ্রাম প্রায় অবহেলিত অবস্থায় ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার সেই চট্টগ্রামকে নতুনভাবে গড়ে তোলে এবং তার গুরুত্ব বৃদ্ধি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় সারা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি অনেকে দেশ নিজেদের দেশে অর্থনৈতিক মন্দা ঘোষণাও দিয়েছে। আমরা এখনো সেই দুর্ভাগ্যজনক অবস্থায় পড়িনি। আমাদের যেটুকু আছে নিজেদের সম্পদ আমরা ব্যবহার করার সক্ষমতা রাখি। আমি দেশবাসীকে আহ্বান করেছি, যার যেখানে জমি-জলাধার আছে উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করবো। কারো কাছে হাত পেতে চলবো না। সেই নীতি নিয়ে সবাইকে চলার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিদ্যুৎ-জ্বালানি-পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে একদিকে করোনাভাইরাসের মন্দা, অপরদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা। তার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম প্রচণ্ডভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রস্ফীতি একটা বিরাট সমস্যা সারা বিশ্বব্যাপী। তার ধাক্কা থেকে আমরাও দূরে না। অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব আমাদের ওপর এসেছে পড়েছে। তারপরও আমরা অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’