ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৪:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে ফিরেছেন ২১ লাখেরও বেশি সিমধারী ভাসানটেকে আগুন: মায়ের পর মারা গেলেন মেয়েও ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১১ রাজধানীতে ফিরছে মানুষ লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু

এই অশান্ত সময়ে বাংলা পথ দেখাচ্ছে: নন্দিতা দাস

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

এই অশান্ত সময়ে বাংলা পথ দেখাচ্ছে: নন্দিতা দাস

এই অশান্ত সময়ে বাংলা পথ দেখাচ্ছে: নন্দিতা দাস

এ দেশ বহুত্বের। এখানে কখনওই একমাত্রিক কিছু হতে পারে না। এ কথা নতুন নয়। তবে বারবার বলতে হয়, এটাই যা চিন্তার এবং দুঃখের। কোনও এক ধারার ভাবনা দিয়ে এ দেশকে বর্ণনা করা যায় না কি? অনেক ধর্মের স্বর থাকবে, সকলের জায়গা থাকবে, এমনই তো কথা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার ১৩তম জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভালের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বললেন ভারতিয় চলচ্চিত্র পরিচালক-অভিনেতা নন্দিতা দাস।

তার মন্তব্য ‘আজ মান্টো থাকলে বলতেন, সত্তর বছরেও কিছুই শিখলে না!’

এনআরসি-ভাবনা ঘিরে ভারতের উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে চর্চা চলছে গোটা দুনিয়াজুড়ে। ভারত কতটা গণতন্ত্রিক, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে বারবার। এমন সময়ে এ সব ‘লজ্জারকথা’ বলতে আপত্তি নেই নন্দিতার। কারণ, আপাতত তিনি গর্বিত জনগণকে নিয়ে।

আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ‘যে দেশে এনআরসি-র চোখরাঙানি হয়, সে দেশে শাহিনবাগও দেখা যায়। এটাই আমাদের পাওয়া।’

নিজের কাজের জগতের অনেকেই যে নেই তার মতো ভাবনার মানুষের পাশে? বলিউডের অনেকেই যে উল্টো কথা বলছেন, খারাপ লাগছে না তার? মন খারাপ যে তার হয়নি আগে তা নয়। বিভাজন তো চোখে পড়েছে আগে। তবে এখন সে সব খারাপ লাগা মনে রাখতে চান না তিনি।

তিনি বলেন, কারণ, একসঙ্গে এত অভিনেতাকে বহু দিন কথা বলতে শুনিনি। এমন উত্তাল সময়ে কে এল না পাশে তা না দেখে, কে কে এল, সেটাই তো দেখার,’’মনে করান ‘মান্টো’র পরিচালক।

বাংলা উচ্চারণে তিনি বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক বিভাজন একেবারেই মানি না, তবে বাংলা অসাধারণ ভাবে পথ দেখাচ্ছে এ সময়ে। ইতিহাসে বহু সময়েই বাঙালিদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে দেখা গিয়েছে। আবার দেখে খুব ভাল লাগছে।’

আর নিজে কী ভাবে এ সময়ের পাশে থাকছেন? এর থেকে নতুন ছবির রসদ খুঁজছেন কি তিনি?

সমস্যার সময়ে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করায় বিশ্বাসী নন নন্দিতা। তবে ভাবতে ভাল ল‌াগে যে,‘মান্টো’ বানিয়েছেন তিনি। তা-ও কিছু দিন আগেই। বলেন, ‘যখন ছবির জগতে কাজ করতে শুরু করেছিলাম, তখন তো ‘মান্টো’ বানানোর গুরুত্ব ততটা ছিল না। দেশভাগের ৭০ বছর পরে বানাতে হল। বাধ্য হলাম।’’

তত ক্ষণে কথার পিঠে অনেক কথা হয়ে গিয়েছে। পুবের বর্ডার, পশ্চিমের বর্ডারে অশান্তির চেহারা কী ভাবে আলাদা ছিল দেশভাগের সময়ে, সে সব নিয়ে হয়েছে খানিক আলোচনা। অনেক দিন পর্যন্ত তাই মান্টোর কথা মনে করিয়ে লাভ হত না বলে মনে হয় তাঁর। কিন্তু তার পরে যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে, কে তা জানত! আর এখন তো ‘মান্টো’র মতো আরও ছবি হলে ভাল হয় বলেই মনে হচ্ছে তাঁর।

তবে ‘মান্টো’র মতো ছবি না হলেও, অনেক সাহিত্যিক উঠে আসছেন আবার নতুন করে। তারাই তো মান্টোদের ধারা বজায় রাখেন। কথা বলার সাহস জোগান। নন্দিতা তার মুখ চেয়ে আছেন। তাদের পাশে থেকেই কাজ করার স্বপ্ন দেখছেন। নতুন সময়ের অপেক্ষা করছেন। যত বার ধর্মের নামে, জাতের নামে বিভাজন ঘটবে, তত বার আরও অনেক অনেক মান্টোর জন্ম হবে বলে মনে করেন নন্দিতা।

তিনি মনে করান, তেমনটাই তো এখন হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে।

নন্দিতা বলেন,‘আমার ভাবতেও উত্তেজনা হচ্ছে যে, শাহিনবাগে এখন একসঙ্গে কত জন মান্টো দাঁড়িয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করছেন! ভাবুন, কলকাতায় কতজন মান্টো একসঙ্গে কাজ করছেন। ভাবতে ভাল লাগে না?’