ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ৮:০৭:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

এই স্কুলে শোনা যায় শান্তির ধ্বনি

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০২:২৯ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮ রবিবার

পাকিস্তানের করাচিতে ছোট্টমণিদের জন্যে হিন্দু মন্দিরের ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছে এক স্কুল! শান্তির শিক্ষা প্রচার করে এই স্কুল৷ নিঃশব্দে, প্রতিদিন৷ করাচির এই স্কুলে প্রতিদিন বাচ্চা পড়ুয়াদের দিন শুরু হয় ‘সালাম’ শুনে৷ আর তাদের শিক্ষিকার দিন শুরু হয় জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে৷ এ এ এক অদ্ভুত সহাবস্থান হিন্দু-মুসলিমের৷ কোথাও কোনও বিরোধ নেই, দ্বেষ নেই, ঘৃণা নেই৷

 


পাকিস্তানের করাচির শেন্টি এলাকায় হিন্দু মন্দিরে বসে স্কুল৷ পড়ুয়ারা প্রত্যেকে হিন্দু৷ তবে শিক্ষিকা মুসলিম৷ হিজাব পড়ে তিনি প্রতিদিন স্কুলে আসেন তার হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে৷ প্রতিদিন তিনি সালাম দেন, বিনিময়ে পান কচিকাঁচাদের কাছ থেকে জয় শ্রী রাম ধ্বনি৷

 

আনুম বেগম নামের এই শিক্ষিকা দক্ষিণ বন্দর শহরের বাস্তি গুরু এলাকায় একটি হিন্দু মন্দিরে স্কুল চালান৷ সংখ্যালঘু হিন্দুদের ছোট ছোট বাচ্চারা তাঁর জীবন৷ তাই তাদের মধ্যেই প্রতিদিন তিনি ঢেলে দেন শিক্ষা, প্রাণ৷ এলাকা জুড়ে ৮০-৯০ ঘর হিন্দু পরিবারের বাস৷ ছোট্ট ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে জীবন কাটে তাদের৷ তবে তাদের সরলতাকে কেড়ে নিতে পারেনি দারিদ্র্য৷ তাই ধর্মের নামে বুজরুকির মলিনতাও বোঝেনা তারা৷ সেই বার্তা নিয়েই হিন্দু শিশুদের পড়িয়ে চলেছেন আনুম৷

 

প্রতিকূলতা আছে৷ মন্দির ভেঙে দেয়ার হুমকিও আছে, তবে নিজের জায়গায় অনড় আনুম৷ সব বাধা টপকে এগিয়ে চলেছেন তিনি৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, যাকেই বলা হয়, সেই চমকে যায়৷ এই মন্দিরের মধ্যে স্কুলঘরের কথা শুনে৷ আর আরও চমকে যায় আমি এখানে পড়াই শুনে৷ কিন্তু আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই৷ আর আমরা কোথাও যেতেও চাই না৷

 


মন্দির চত্বরে ক্লাসরুম, সেখানে পড়াচ্ছেন এক হিজাব পরিহিত নারী৷ এই ছবিতে অভ্যস্ত নয় দু’দেশের মানুষ৷ হানাহানি আর ধর্মের মোড়কে রাজনীতি করতে ব্যস্ত রাজনীতিকদের কাছে হয়ত এটা শিক্ষণীয়৷ তবে তারা শিখবেন কি? শিখলে হয়ত দু’দেশের মধ্যবিত্ত মানুষ আরেকটু নিরাপদ জীবন পেতেন৷