ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ৬:০৮:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

সুচিত্রা সেনের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

সুচিত্রা সেনের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তিনি সমান জনপ্রিয়। তার কাজলকাল চোখের চাহুনি আর বাঁকা ঠোঁটের মিষ্টি রোমান্টিক হাসি সব প্রজন্মের সিনেমাপ্রেমী মানুষের কাছে প্রিয়। কাল ১৭ জানুয়ারি এই মহানায়িকার মৃত্যুবার্ষিকী।

করুণাময় ও ইন্দিরা দাশগুপ্তের সংসারে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্ম নেন কন্যাসন্তান। যার নাম রাখা হয় কৃষ্ণা। আর বাবা করুণাময় সাধ করে মেয়ের আরেকটি নাম রাখলেন ‘রমা’। এর পর থেকেই ‘রমা’ নামেই ক্রমেই বড় হলো মেয়েটি। এরই মধ্যে পাটনা থেকে বদলি হয়ে বাংলাদেশের পাবনায় চলে এসেছেন করুণাময় দাশগুপ্ত এবং পাবনাতেই কাটে সুচিত্রার শৈশব-কৈশোর।

১৯৪৭ সাল। ১৭ বছর বয়সে ফ্রক ছাড়তে না ছাড়তেই বিয়ের বাদ্যি বাজল রমার। পুরীতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই দিবানাথ সেনের ঠাকুমার চোখে ধরা পড়লেন রমা। এর পর দিবানাথের পিতা ব্যারিস্টার আদিনাথ সেন যখন প্রথম দেখলেন তাকে, তখনই ঘরের বউ করে তুলে নিতে চাইলেন। বিয়ের পর একা রমা আরও বেশি একা হয়ে পড়েন নতুন পরিবেশে এবং এই একাকিত্বই একসময় তার অভিনয় জগতে প্রবেশের ইন্ধন হিসেবে কাজ করে। পাড়ার ক্লাবের ছেলেরা সুচিত্রাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে নিতে চায় তাদের নাটকে। ‘নটীর পূজা’ নাটকে প্রথম অভিনয় করলেন এবং সেই খ্যাতি পৌঁছল টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায়। স্বামী ও শ্বশুরের উৎসাহেই সিনেমায় নামলেন রমা সেন। ১৯৫২ সালে প্রথম ছবি ‘শেষ কোথায়’ দিয়ে শুরু। কিন্তু কিছুদিন অভিনয়ের পর অর্থাভাবে তা বন্ধ হয়ে গেল। কখনই মুক্তি পেল না।

এর পর সুকুমার দাশগুপ্তর ‘সাত নম্বর কয়েদী’ সিনেমা থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হলেন রমা। সুকুমার দাশগুপ্তর সহকারী নীতীশ রায় তার নাম দিলেন সুচিত্রা। রমার নবজন্ম ঘটল ‘সুচিত্রা’ হয়ে, সিনেমার রুপালি পর্দায়। এর পরের ছবি অর্থাৎ নীরেন লাহিড়ীর ‘কাজরী’ ছবির মাধ্যমে রমা সেন পাল্টিয়ে ‘সুচিত্রা সেন’ নামে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

তার অভিনীত বাংলা সিনেমা ৫২টি আর হিন্দিতে করেছেন সাতটি সিনেমা। বাঙালি চরিত্রের পাশাপাশি হিন্দি চলচ্চিত্রের পর্দাও কাঁপিয়েছেন তিনি।

সুচিত্রা সেনের নাম শুনলেই আরেকটি নাম ভেসে ওঠে স্মৃতির পর্দায়। ১৯৫৪ সালের ২৬ জুন থেকে শুরু করে বহু সিনেমায় একসঙ্গে আবির্ভূত হলেও ১৯৫৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পরিচালক অগ্রদূতের ‘অগ্নিপরীক্ষা’ সিনেমাটিতেই তাদের জুটি প্রথম সাফল্য পায়। টানা ১৫ সপ্তাহ হলে চলে এ সিনেমা। রুপালি পর্দার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও খুব কাছের ছিলেন তারা। উত্তম কুমারের মৃত্যু সুচিত্রার মনোজগতে এক আলোড়ন তুলেছিল। ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই হঠাৎ মারা গেলেন উত্তম কুমার। এর পর এ জুটির দেখা না গেলেও তাদের ছবিগুলো আজও মানুষের মনে দাগ কেটে যায়।

২০১৩ সালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আবার আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন সুচিত্রা। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা সেনের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।