ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৮:০৩:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

কোরবানির ঈদে সুস্থ থাকার কিছু টিপস

ফিচার ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:৪১ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

অাজ ঈদুল অাজহা। সবাই ঈদের খুশিতে মাতোয়ারা। কোরবানির ঈদ এলে সুস্বাদু ও ভারি খাবার খাওয়ার পরিমাণ যেমন বাড়ে তেমনি অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন থাকতে হয়। অাসুন জেনে নেই এই ঈদে স্বাস্থ্য সুস্থ থাকার কিছু টিপস।
 

সকালের নাস্তা : ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে অল্প করে সেমাই বা পায়েশ খেতে পারেন। সঙ্গে কিসমিস, বাদাম এমনকি খেজুর বা খুরমা, ফলের জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতে পারেন। খাবার আধঘণ্টা পর দেড় থেকে দুই গ্লাস পানি খেয়ে নামাজ পড়তে যান। 

 

খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে : যাদের বয়স কম এবং শারীরিক কোন সমস্যা নেই, তারা নিজের পছন্দমতো সবই খেতে পারেন এবং তাদের হজমেরও কোন সমস্যা হয় না, শুধু অতিরিক্ত না হলেই হলো, বিশেষ করে চর্বি জাতীয় খাদ্য। বেশি গোশত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়।  তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, সরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুষি ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি করে খাবেন। পেটে গ্যাস হলে ডমপেরিডন, এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। যাদের আইবিএস আছে, তারা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। দাওয়াতে গেলে পরিমিত খাবেন, অতিভোজন পরিহার করার চেষ্টা করবেন।   

 

খাবারের পরিমাণ : কোরবানির গোশত পরিমাণে একটু বেশি খাওয়া হয়।   সাধারণভাবে কোন নির্দিষ্ট খাবার খেতে মানা নেই, কিন্তু পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকা দরকার। যেহেতু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই সবাই গোশত খাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাই কিছুকিছু খাবার সকাল আর দুপুরে পরিহার করাই উত্তম। যেমন তৈলাক্ত খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি, আমিষ জাতীয় খাবার, যেমন মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা ইত্যাদি। অন্য খাবারও যথাসম্ভব কম খেয়ে পেটটা একটু খালি রাখুন। কারণ দিন গড়িয়ে গেলে কোরবানির গোশত প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

 

কি পানীয় খাবেন : ঈদের দিনে অনেকেই সরবত, কোমল পানীয়, ড্রিংকস এবং ফ্রুট জুস খাওয়া পছন্দ করেন। তবে মনে রাখা উচিত, বাজারে দেশী-বিদেশী যেসব ফ্রুট জুস পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশির ভাগই আসল ফলের রস নয়। কৃত্রিম রং ও সুগন্ধি দিয়ে জুস নামের এসব পানীয় তৈরি করা হয়। বাজারের ফ্রুট জুস পান করলে কোন উপকার তো হবেই না, বরং স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতএব এসব না খেয়ে সবসময় মৌসুমি ফল খাবেন তাতে মজা ও উপকার দুই-ই পাবেন। লেবুর শরবত, বাসায় বানানো ফলের রস, ডাবের পানি, বোরহানি ইত্যাদি খাওয়া যায়। খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন।

 

চর্বি একদম না : যে কোন পশুর চর্বি খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কোরবানির সময় এ বিষয়টি  খেয়াল রাখা উচিত। গরু বা ছাগলের মাংসকে এক কথায় বলা হয় লাল মাংস । লাল মাংস প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস, শরীরের বৃদ্ধি সাধন, ক্ষয়পূরণ ও শরীর গঠনে যার ভূমিকা অপরিসীম। তবে লাল মাংসের যেমন উপকার রয়েছে, তেমনি রয়েছে অনেক ঝুঁকিও। এতে আছে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন ট্রাইগি সারাইড ও এলডিএল, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হিসাবে পরিচিত। এগুলো শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ বাড়ায়, রক্তনালীতে চর্বি জমিয়ে রক্তপ্রবাহকে ব্যাহত করে স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়, ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন কোলন ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে লাল মাংসে। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা রান্না সুস্বাদু হবে এমন ভুল ধারণা পোষণ করে মাংসে বেশ কিছু চর্বি আলাদাভাবে যোগ করে থাকি। এটা ঠিক নয়। যতটুকু সম্ভব মাংসের চর্বি ছাড়িয়ে খাওয়া ভাল।  মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, ভুনা গোশতের বদলে শুকনো কাবাব করে খেলে কোরবানির ঈদের সময়ও ভাল থাকা যায়।

 

বিরতি দিয়ে খান : বেশি পরিমাণ মাংস যেহেতু খেতেই হবে তাই খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণ মাংস রাখুন। একেবারে বেশি বেশি না খেয়ে একটু পরপর অল্প অল্প করে খান। মাংস খাওয়ার ফলে যেহেতু দৈনিক ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায় তাই ডেজার্ট এবং মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।বিরতি দিয়ে খান। নিজের মুখের লাগাম রাখুন।

 
হাঁটাচলা করুন  : খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন না। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন।