ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৭:২১:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

গাছে গাছে আমের মুকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪২ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে।  চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এ মুকুলের ঘ্রাণ।  গতবছরের তুলনায় এবছর আমগাছে মুকুলের পরিমাণ কিছুটা বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন   আমচাষি ও কৃষি বিভাগ।  
আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই ছোট বড় অনেক মুকুল। ঐসব আমগাছে পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আমগাছের ফুলের সৌরভ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে গাছের প্রায় প্রতিটি ডালপালা। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে আম চাষিদের মন। 
এবার মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আমবাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। আম আ¤্রপালি, নেংড়া, হাড়িভাঙ্গা, বারি-৪, বারি-৫, বারি-২, ফজলি ও আশ্বিনা জাতেরই গাছ রয়েছে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল এসেছে। কালাই উপজেলার মাত্রাই গ্রামের মিলন, জয়পুর-বহুতি গ্রামের এনামুল ও রাঘবপুর গ্রামের তাজুলসহ অনেক আম চাষি জানান, তাদের আম গাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আম গাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।  আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারা আমের বাম্পার ফলন পাবেন বলে তারা আশা করছেন। কালাই উপজেলার কৃষি অফিসার মোছা. নীলিমা জাহান বলেন, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু হচ্ছে কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল ভালো ফুটছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আম চাষিরা সময়মতো আমগাছে পরিচর্যা করলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন পাওয়ার আশা করেন তিনি।  চলতি মৌসুমে আম থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন এম প্রত্যাশা নিয়ে জেলার আম চাষিরা এবার ভালো ফলনের আশায় আম গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে জেলায়  ৭৭৬ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আম চাষে সফলতা অর্জনের জন্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক আম চাষিদের পরামর্শ প্রদান করছেন বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম।