ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৪:০৯:১৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

গুগল ডুডলে কবি সুফিয়া কামাল

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ২০ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৯তম জন্মদিন উপলক্ষে গুগলের হোমপেজে তার ছবি দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়েছে। ডুডলটি কেবল বাংলাদেশ থেকে দেখা যাচ্ছে। বুধবার রাত ১২টার পর থেকে সুফিয়া কামালকে নিয়ে তৈরি ডুডলটি দেখাতে শুরু করে গুগল।

গত বছরও সুফিয়া কামালের জন্মদিনে গুগল ডুডলে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল।

বিভিন্ন দিবস, ব্যক্তি ও ঘটনার স্মরণে গুগল তাদের হোম পেজে বিশেষ লোগো ফুটিয়ে তোলে, যা ডুডল হিসেবে পরিচিত। এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবস ও ব্যক্তির স্মরণে এ ধরনের ডুডল প্রকাশ করে গুগল।

গুগল তাদের ডুডল পেজে লিখেছে, কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১১ সালের এই দিনে বরিশালের শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সুফিয়া কামাল ছিলেন একাধারে কবি, নারী আন্দোলনের অগ্রণী নেত্রী, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অকুতোভয় যোদ্ধা।

নবাব পরিবারের অবরোধবাসিনী হয়েও বেগম সুফিয়া কামাল দেশের ও পরিবারের স্বদেশি পরিমণ্ডলের অনুপ্রেরণায় প্রভাবিত হয়েছেন, সে সময়ের নারী আন্দোলনের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সাপ্তাহিক বেগম প্রকাশ করেন সুফিয়া কামালকে প্রধান সম্পাদিকা ও নূরজাহান বেগমকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদিকার দায়িত্ব দিয়ে।

১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে জাতীয় সব সংকটে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-সামাজিক বিবেকের মতো দায়িত্ব পালন করেছেন সুফিয়া কামাল। সামরিক শাসনের গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে, রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে, রবীন্দ্রশতবর্ষ উদ্‌যাপনের দাবিতে ও দাঙ্গা প্রতিরোধে সুফিয়া কামাল সামাজিক গণমানুষের সর্বাধিনায়কের ভূমিকায় একাধারে ছায়ানট, কচিকাঁচার মেলা, পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সংসদ প্রতিষ্ঠা ও নারী আন্দোলনের মহিলা সংগ্রাম পরিষদ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

জাতীয় স্বাধিকার আন্দোলনের মূলধারায় নারী আন্দোলনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সুফিয়া কামাল। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জরুরি আইন প্রত্যাহার, দমননীতি বন্ধ, রাজবন্দীর মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী চলতে থাকা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশি নারীসমাজের বৃহত্তর আন্দোলন অব্যাহত ধারায় সক্রিয় ছিল।

১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সচেতনভাবে নারীর মানবাধিকার অর্জনের দাবি জানিয়ে নারী আন্দোলনকে আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক-বৈষম্য-অসাম্য-নির্যাতনের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে সোচ্চার থাকা এবং অসহায়, দরিদ্র, নির্যাতিত নারীর শিক্ষা-কর্মসংস্থান-ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করার পথনির্দেশ দিয়ে গেছেন তিনি।