ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১১:২২:১১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

ঘরে বসে যেভাবে আয় করতে পারেন বাংলাদেশের নারীরা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে এখন কর্মজীবী নারীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে ঘরের বাইরে অফিসে কাজ করা অনেক নারীর জন্য কষ্টকর। বিশেষ করে যাদের ছোট সন্তান আছে তাদের জন্য সমস্যাও বটে। তবে যেসব নারী ঘরে বসে কাজ করতে চান তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ।

বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ফ্রিল্যান্সিং।এ পেশায় নারীদের আগ্রহ যে বাড়ছে তা চোখে পড়ার মতো।তাই ঘরে বসে এই আয়ের সুযোগটা হচ্ছে স্বাধীন পেশা, যেখানে সময় বেঁধে কাজ করতে হয় না।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে বিদেশি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ভালো কাজ করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত ২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে আউটসোর্সিং খাতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

পুরুষদের পাশাপাশি এখন অনেক নারী আগ্রহী হচ্ছেন এই স্বাধীন পেশা বেছে নিতে। তথ্য প্রযুক্তি খাতে ফ্রিল্যান্সিংকে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারীদের সমিতি, বেসিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ. রহমান।

ফারহানা এ. রহমানের মতে, বেশির ভাগ নারীর বাইরে কাজ করার ব্যাপারে পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাই তাদের ঘরে বসে আয় করা এটা একটা বড় সুযোগ।

এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার জয়ীতা ব্যানার্জি। আসুন জেনে নেই বাংলাদেশি নারীরা ঘরে বসে যেভাবে আয় করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজন:

১. ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে কাজের জন্য বড় ধরনের কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।

২. ভালো মানের একটি ল্যাপটপ,সফটওয়্যার,দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং বৈদেশিক অর্থ লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্ট থাকলেই চলবে।

৩. এছাড়া আউটসোর্সিংয়ে যে বিষয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়ে পারদর্শিতা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলা, লেখার দক্ষতা ও কম্পিউটার চালনার জ্ঞান থাকতে হবে।

যেসব বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন

১. আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। যেমন- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, নেটওয়ার্কিং, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং,ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট, বিজনেস সার্ভিস, ডাটা এন্ট্রি, রাইটিং অ্যান্ড ট্রান্সলেশন, প্রুফ রিডিং ইত্যাদি।

২. একটি বা একাধিক সেক্টর নির্বাচন করতে হবে।যা আপনি আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লেসে উপস্থাপন করার উপযোগী।

৩. অনলাইন বা অফলাইন দুভাবে প্রশিক্ষণ নেয়া যায়।

৪. বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করেও এ বিষয়ে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

৫. দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে কাজ করলে দ্রুত উন্নতি করা যায়।

কাজ কোথায় খুঁজবেন?

১. আপনার দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের মার্কেট প্লেস বেছে নিতে হবে। বাংলাদেশে জনপ্রিয় মার্কেট প্লেসগুলোর মধ্যে রয়েছে আপওয়ার্ক, ফাইবার, ই-ল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি।

২. এরপর সাইটের নিয়মানুযায়ী নিজের বিস্তারিত পরিচয় দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

৩. অ্যাকাউন্ট তৈরি পর আপনার প্রোফাইলটি অনেক সুন্দর করে সাজাতে হবে। আগের কাজের অভিজ্ঞতা সেগুলো গুছিয়ে লিখতে হবে।

৪. মনে রাখবেন প্রোফাইল যতো আকর্ষণীয় হবে ভালো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি ।

৫. ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নিয়মকানুন, সুযোগ-সুবিধা ও কাজের ধরন ভালো করে পড়ে নেয়ার পর বিড করা শুরু করতে হবে।

৬. প্রথম অবস্থায় কাজ পেতে একটু দেরি হওয়াই স্বাভাবিক।হতাশ হবেন না।

৭. বায়ারের রেটিং উপযুক্ত না হলে, সেই সঙ্গে পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড না হলে, ওই কাজে অ্যাপ্লিকেশন করা ঠিক হবে না।

৮. অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোতে ঘণ্টাপ্রতি এবং ফিক্সড প্রাইস -এতে দুই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টাপ্রতি কাজে পারিশ্রমিকের নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু সব সাইট ফিক্সড প্রাইসে অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয় না।

৯. শুরুতে ঘণ্টা হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দেন ফ্রিল্যান্সাররা।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা

১. কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কাজের সময় নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকে।

২. আপনার বেডরুম থেকে শুরু করে গাড়ির ভেতরে বা লাইব্রেরিতে কাজ করতে পারবেন। ৩. কাজ শুরু করতে কেবল ভালো মানের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার, কিছু সফটওয়্যার, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং বৈদেশিক অর্থ লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন।

৪. ব্যবসার ক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী হওয়ায় গ্রাহকসংখ্যাও অগণিত হওয়ায় কাজের সুযোগ বেশি। তাই থেমে থাকার সুযোগ নেই।

সূত্র: বিবিসি

-জেডসি