ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৭:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

চসিক নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছে

বাসস | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার

চসিক নির্বাচন

চসিক নির্বাচন

বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮ টায়। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই পাশাপাশি দুই কেন্দ্র বাকলিয়া হাই স্কুল ও পূর্ব বাকলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরুষ ও মহিলা ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হলে ভোটাররা ইভিএমে তাদের ভোট প্রদান শুরু করেন।
ভোট দানের পর প্রতিক্রিয়ায় স্কুলবাড়ির মাঝ বয়সী ভোটার আবুল কাশেম বাসস’কে বলেন, ‘এ প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। এটিকে জটিল প্রক্রিয়া বলে যারা এতোদিন বলে আসছেন তারা অপপ্রচার করেছেন। এতে অন্যের ভোট দেয়ারও সুযোগ নেই। তিনি ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ ও ভোটার উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।’
পরে মজিদিয়া মাদ্রাসা ও এখলাসুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়। এ চারটি কেন্দ্রই ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত। মেয়র ছাড়াও এখানে কাউন্সিলর পদে সরাসরি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঘুড়ি প্রতীকের আওয়ামী লীগ সমর্থিত আশরাফুল আলম এবং রেডিও প্রতীকের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাসান লিটন দু’জনই সাবেক নির্বাচিত কাউন্সিলর।
পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নং ওয়ার্ডের বাকলিয়া সরকারি কলেজ, বিএড ট্রেনিং কলেজ, বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও পশ্চিম বাকলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে সবক’টি কেন্দ্রেই বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়। কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমাণ উৎসুক জনতার সাথে কথা বলে জানা যায়, কোনো কেন্দ্রেই গোলযোগ হয়নি। ভোটাররা নিজেদের মতো করে এসে ভোট দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের খুইল্যা মিয়া সওদাগর ও আব্দুল মান্নান সওদাগর প্রাইমারি স্কুলে গেলে সেখানেও ভোটারের লাইন দেখা যায়। তবে এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মো. হারুনর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এখানে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ হচ্ছে বলে জানান দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাসস’কে বলেন, ‘নগরীর ৭৩৫ কেন্দ্রেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে দাবি করে বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে। কোনো সহিংসতার কথা আমি শুনিনি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসছেন। সারাদিন সুষ্ঠু ভোট হবে বলে আশা করি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা বিএনপির একটা স্বভাবগত অভ্যাস। এগুলো সত্য নয়। আমি সহিংসতায় বিশ্বাস করি না। আমি প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্বাস করি।’
সকাল পৌনে ৯টায় বহদ্দারহাটস্থ এখলাসুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান তাঁর সাথে ছিলেন।
অন্যদিকে, পশ্চিম বাকলিয়াস্থ বিএড কলেজে ভোট দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটে আমি শেষ পর্যন্ত থাকবো। তাদের ভোট ডাকাতির মুখোশ সারাবিশ্বে জানাবো। প্রশাসন আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করতে উঠেপড়ে লেগেছে। প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ভোট গ্রহণ শুরুর পরপরই সকাল ৮টায় কদম মোবারক এমআই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ৪১ ওয়ার্ডে মোট ৭৩৫ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬ টি বুথে ইভিএম’র মাধ্যমে একযোগে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। নির্বাচনে মোট ২৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন।
মেয়র পদে ৭ প্রার্থী হলেন : নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, মিনার প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, হাত পাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম, চেয়ার প্রতীক নিয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে খোকন চৌধুরী।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২টি ওয়ার্ডে আজ ভোট গ্রহণ হচ্ছে না। আলকরণ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পূর্ব বাকলিয়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হারুনুর রশিদের সাথে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এ দু’টি ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে।
এদিকে, কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে বিরোধে পাহাড়তলীতে সকাল ৮টার দিকে একজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। নিহত নিজামউদ্দীন ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী।