ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ৩:৩১:৪৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

জমতে শুরু করেছে বাণিজ্যমেলা, ছাড়ের ছড়াছড়ি

শারমিন সুলতানা | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০০ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

ছবি : শারমিন সুলতানা

ছবি : শারমিন সুলতানা

এবছর বাণিজ্যমেলার শুরুটা একটু দেরীতে হলেও এরই মধ্যে বেশ জমতে শুরু করেছে মেলা। ৯ জানুয়ারি উদ্বোধনের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। মেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সকালের দিকে লোকসমাগম কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ভীড়। এদিকে দেশী, বিদেশী প্রায় সব প্যাভিলিয়নেই চলছে কমবেশি মূল্য ছাড়। সাথে আছে আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা।

মেলা ঘুরে দেখা গেলো, দেশীয় বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন হাতিল, পার্টেক্স ও নাভানাতে চলছে সর্বোচ্চ ১৫% পর্যন্ত মূল্য ছাড়। তবে ফার্ণিচার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এবার সর্বোচ্চ ৫০% মূল্য ছাড় দিচ্ছে আক্তার ফার্ণিচার। এছাড়াও আরএফএল-এর ইটালিয়ানোতে ৫০০ টাকার উপরে পণ্য কিনলে ১০% এবং স্টেশনারি আইটেমে ২০% পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে। 

কিয়ামের একজন বিপণন কর্মকর্তা জানান, তাদের পণ্যের গায়ে ছাড়ের বিষয়ে কিছু লেখা থাকে না। তবে তারা চলতি বাজার মূল্য থেকে প্রতিটি পণ্যই কম দামে বিক্রি করছেন। একশ থেকে দেড়শ টাকা কমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তাদের এই ছাড় চলবে মেলা শেষ হওয়া অবধি। 

গৃহিণীদের কিচেন আইটেমের প্যাভিলিয়ন টপারেও আছে ১০% ছাড়। ছাড় আছে আমাদের দেশীয় পাটের তৈরি পণ্যেও। শতরঞ্জির প্যাভিলিয়নে দিচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত মূল্য ছাড়। বরাবরের মতো এবারও নাবিস্কোর প্যাভিলিয়ন শুরু থেকেই জমে উঠেছে। সেখানেও আছে প্যাকেজ অনুযায়ী ৫০% পর্যন্ত ছাড়। এছাড়াও বিদেশী প্যাভিলিয়নগুলোতেও সর্বোচ্চ ২৫% পর্যন্ত ছাড়ের ব্যবস্থা আছে এবার।

মেলায় যখন প্রায় সব বড় বড় প্যাভিলিয়নগুলোতেই ছাড়ের এমন ছড়াছড়ি তখন পণ্যের মান নিয়ে কোন শঙ্কা থাকছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে, আক্তার ফার্ণিচারের বিপণন কর্মকর্তা ফেরদৌসি আক্তার জানালেন, সেরকম কোন সম্ভাবনা তো থাকছেই না। বরং মেলা উপলক্ষে পণ্যের গুণগত মান আরো বাড়ানো হয়েছে।

এবার জয়িতার প্যাভিলিয়নে স্টল বরাদ্দ পেয়েছেন ৪০ জন নারী উদ্যোক্তা। বিক্রি কেমন হচ্ছে বা আশানুরুপ কিনা জানতে চাইলে, জয়িতার দু’জন নারী উদ্যোক্তা রাজিয়া বেগম এবং নাছিমা আক্তার জানান, বিক্রি খারাপ হচ্ছে না। তবে সামনে আরো বেশি বিক্রির আশা করছি।

মেলায় খাবারের দোকানগুলো ঘুরে বরাবরের মতো হতাশ হতে হলো। বেশকিছু খাবারের দোকান থাকলেও, দাম আকাশ ছোঁয়া। ২৫ টাকার চটপটি কিংবা ফুসকা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ৩০ টাকার বার্গারের দাম দোকান ভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। খাবারের উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি মানের যে কি অবস্থা তা বোঝা গেলো মিরপুরের সালেহা আক্তারকে আধ খাওয়া বার্গার প্লেটে রেখে বিরক্ত হয়ে উঠে চলে যেতে দেখে। 

তবে খাবারের দাম আর মান নিয়ে অভিযোগ থাকলেও মেলায় বিভিন্ন পণ্যের প্যাভিলিয়ন ঘুরে আর কেনাকাটা করে বেশ খুশিই মনে হলো অনেককে। কথা হলো বাড্ডা থেকে মেলায় আসা গৃহিণী নার্গিস সুলতানার সাথে। তিনি জানালেন, নাবিস্ক আর প্রাণের বেশকিছু স্পেশাল প্যাকেজ আছে। এগুলো মেলা ছাড়া অন্য সময় পাওয়া যায় না। ওগুলোই কিনেছেন তিনি। এছাড়া এ সময় কিছু ক্রোকারিজের যেমন ছাড় মেলে তেমন মানও ভালো পাওয়া যায়। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী  চলতে থাকা এই মেলা  শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবার প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।

এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।