ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৪:৫৭:১১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

জাতীয় কবির ১২০তম জন্মবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ২৪ মে ২০১৯ শুক্রবার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ শনিবার। দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে, সরকারী ও বেসরাকরী উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারী পর্যায়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ত্রিশাল, ঢাকা, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা ও মানিকগঞ্জে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ত্রিশালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে।
দ্রোহ, প্রেম, সাম্য, মানবতা ও শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মূলত তিনি বিদ্রোহী। কবির প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। কবি বলেছেন,‘ আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন ক’জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পকে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন।
বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে কবি কাজী নজরুল ইসলাম জন্মেছিলেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য সুর সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।
কাজী নজরুল অসাম্প্রদায়িক ও শোষনমুক্ত দেশ ও সমাজ গড়ার মানসে সাহিত্যে বিভিন্ন শাখায় লেখালেখি করেন। এ সব ক্ষেত্রে তিনি সংগ্রামী ও পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির বসবাসের জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন তিনি।
নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাসসকে বলেন, নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন যার প্রভাব তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তুরস্কে কামাল পাশার নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে নজরুল তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন।
শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্যদিয়ে দিবসটির কর্মসূচি পালন শুরু হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বাংলা একাডেমি দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শনিবার সকালে কবির সামধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং রোববার সকাল ১১টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,শিশু একাডেমি,নজরুল একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে। বিটিভিসহ বেসরকারী চ্যানেলগুলো নানা অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো কবির ওপর বিশেষ সংবাদ ও নিবন্ধ পরিবেশন করবে।