ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৪:১২:৪৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

ডাকে অতিষ্ঠ হয়ে মোরগের বিরুদ্ধে মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ১২ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশীর একটি মোরগ সকাল থেকেই শুরু করে ডাকাডাকি। মোরগের ডাকে আশপাশের বাসিন্দারা চরম অতিষ্ঠ। তাদের কাছে মোরগের এই ডাক রীতিমতো নির্যাতনের শামিল বলে অভিযোগ করেছেন। আর এই যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে মোরগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন জার্মানির এক বয়স্ক দম্পতি।

ওই দম্পতি বলেছেন, সকালবেলা থেকে শুরু হয়ে সারা দিনে প্রায় ২০০ বার ডাকে মোরগটি। যা তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, মোরগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জার্মানির ফ্রেডরিখ-উইলহেম কে (৭৬) এবং তার স্ত্রী জুত্তা। তারা বলেছেন, মাগদা নামের মোরগটি সকাল ৮টা থেকে ডাকাডাকি শুরু করে এবং সারাদিন চলে তার এই ডাক। 

যে কারণে এই দম্পতি পশ্চিম জার্মানির বাড সালজুফ্লেনে তাদের প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে মোরগটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। মোরগটির একদিনের ডাকাডাকি রেকর্ড করে আদালতের কাছে উপস্থাপন করেন তারা।

ফ্রেডরিখ-উইলহেম জার্মানির একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, আমরা নিজেদের বাগানটিও ব্যবহার করতে পারি না। এমনকি বাসার জানালাও খুলতে পারি না।

‌‘মোরগটি সকাল ৮টার আগে ডাকাডাকি শুরু করে না। কারণ রাতে তালাবদ্ধ থাকে। কিন্তু তারপর সারাদিনে ১০০ থেকে ২০০ বার ডাকে। এটা একেবারে অসহনীয়।’

জুত্তা বলেছেন, ‘অত্যাচারের কথা বর্ণনা করাটা কঠিন। কিন্তু ব্যাপারটি এমনই।’ ফ্রেডরিখ-উইলহেম বলেছেন, মোরগটির অসহ্য ডাকের কারণে দুই বছর আগে এক প্রতিবেশী বাসা ছেড়ে চলে গেছেন। ফ্রেডরিখ-উইলহেম ও জুত্তার আইনজীবী টরসেন জিসকে বলেছেন, একটি শান্ত বাড়িতে এভাবে কোনও মোরগ রাখা যায় না।

কিন্তু মাগদার মালিক মাইকেল ডি (৫০) বলেছেন, তার বাসায় কয়েকটি মুরগি আছে। যে কারণে বাসায় একটি মোরগ রাখা জরুরি। ওই দম্পতির অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মুরগির জন্যই মোরগ দরকার।

২০১৮ সালে নিজের বাগানের জন্য মাইকেল পাঁচটি মুরগির ছানা কিনেছিলেন। যাতে সেগুলো লালন-পালন করে ডিম সংগ্রহ করা যায়। পরে দেখা যায় ছানাগুলোর একটি মোরগ এবং অন্যগুলো মুরগি। সেই মোরগটি ডাকাডাকি শুরু করায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে যান।

এক প্রতিবেশী জানান, ‘এটা দুঃস্বপ্নের মতো। আপনি বাগানে বসতে পারবেন না। আপনার বাসার জানালাও খুলতে পারবেন না। এটা একটা ভয়ঙ্কর আওয়াজ এবং মনে হয়, তারা এটাকে পাত্তা দেন না।’

পরে আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মোরগটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে মালিকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্র: ডেইলি মেইল।