ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২১:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চট্টগ্রামে আজ শুরু উইম্যান এসএমই এক্সপো হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছ কাটায় দুই ছাত্রীর অন্যরকম প্রতিবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক  | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৯ পিএম, ২১ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

বৃক্ষ রোপাণ করছেন ঢাবির দুই ছাত্রী। ছবি : সংগৃহীত

বৃক্ষ রোপাণ করছেন ঢাবির দুই ছাত্রী। ছবি : সংগৃহীত

মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়কের পাশের সবগুলো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। চলমান নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালীন এসব গাছ কাটা হয়।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ তীব্র প্রতিবাদ জানায়। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এ নিয়ে ব্যাপক তর্ক-বির্তক চলছে। তা ছাড়া ছাত্র ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্যাম্পাসে কর্মসূচিও পালন করছেন। আবার অনেকেই বিবৃতিও দিয়েছেন।

এবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী অন্যরকম পন্থা বেঁছে নিয়েছেন। যেসব স্থানে গাছ কাটা হয়েছিল, তারা সেসব গাছে পড়ে থাকা শেকড়ের পাশে আবারও গাছের চারা লাগিয়ে দিয়েছেন। এসব গাছের চারার মধ্যে রয়েছে নিম, বকুল এবং পেয়ারা গাছ।

আজ বৃহস্পতিবার তারা এসব গাছ লাগিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ওই দুই ছাত্রী হলেন, কানেতা ইয়া লাম-লাম ও মানসুরা আলম। এদের মধ্যে কানেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এবং মনসুরা আইন অনুষদের ছাত্রী। তারা একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

এ বিষয়ে তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মেট্রোরেল চায় না। মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে যেসব স্থানে গাছ কাটা হয়েছিল। প্রতিবাদ স্বরূপ ওইসব স্থানে আবারও গাছ লাগিয়ে দিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল যাওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এখন গাছগুলো কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সামান্য নির্মল পরিবেশ রয়েছে তাও নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। এছাড়া মেট্রোরেলের কারণে চুরি-ছিনতাই বাড়তে পারে বলে তারা মনে করছেন। তবে অনেকের মতে, টিএসসিতে মেট্রোরেল হলে বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় কাজের জন্য যেটা লাগবে, সেটা কাটতে হবে। জাতীয় কাজের বাইরে একটি গাছ কাটলেও আমি ব্যবস্থা নেবো। মেট্টোরেল জাতীয় কাজের জন্য যা করা দরকার তা তো তারা নেবেই।’

করোনার সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গাছ কাটছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু ঠিক বলতে পারব না। মেট্টোরেলের জন্য যদি বিল্ডিং ভাঙা লাগে সেটি করবে।’

মেট্টোরেলের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন। এটা জাতীয় কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রতিষ্ঠান। টিএসসির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যা করা লাগবে, তা প্রধানমন্ত্রী করবেন। এ বিষয়ে তিনি স্বতন্ত্র একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যা করা দরকার তিনি করবেন, আবার জাতীয় কাজও করবেন।’